তিনি বলেন, আজকে বিশ্ববাজারে তেল-গ্যাসের দাম বেড়ে গেছে। যে জার্মানি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছিল, আজ তারা আবার সেটা করারই চিন্তা করছে।
শনিবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যৌথসভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস ও তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানাই। তাদের উদ্যোগের কারণে রাশিয়া ও ইউক্রেন একটি চুক্তি করেছে। যে চুক্তির কারণে এখন থেকে খাদ্যদ্রব্য কিনে আনা যাবে। আমি মনে করি এটা আমাদের জন্য স্বস্তির।
খাদ্যের জন্য অন্যের ওপর নির্ভর করার চিন্তা থেকে বের হয়ে আসতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আসুন সবাই আমরা গাছ লাগাই, মৎস্য চাষ করি। সাধারণ মানুষকেও বোঝাতে হবে। কোথায় যেন এক ইঞ্চি জমিও পড়ে না থাকে। যে যাই করুন, সেটাতে আবাদ করুন। তরকারি, সবজি, হাঁস-মুরগি মাছ চাষ করুন। মোটকথা আমাদের নিজেদের খাদ্যের ব্যবস্থা যেন আমরা নিজেরাই করতে পারি।
তিনি বলেন, এ জন্য আমাদের দলের পক্ষ থেকেও উদ্যোগ নিতে হবে। আওয়ামী লীগ শুধু সরকারে থাকলে মানুষের জন্য কাজ করে এমন নয়, বন্যা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস সবকিছুতে আমরা সব সময়ই মানুষের কাছে আগে ছুটে গিয়েছি। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে ১৯৯১ সালের ঝূর্ণিঝড়ে কে আগে গিয়েছে, আমরাই গিয়েছি। মানবতার সেবায় আমরা সব সময়ই এগিয়ে আছি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে জনগণের সেবাটা নিশ্চিত হয়।
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকা মানেই দুর্নীতি, সন্ত্রাস, অর্থপাচার, মানবপাচার এসব। কারণ যারা মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় আসে, তারাই এসবের সঙ্গে যুক্ত থাকে। তারা তো দেশের জন্য কাজ করবে না। নির্বাচন নিয়ে আমি একটি কথাই বলব, বাংলাদেশে নির্বাচনে যদি কোনো শৃঙ্খলা এসে থাকে, তবে সেটাও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই এসেছে।