উদ্বোধনকে সামনে রেখে মেগাস্ট্রাকচারে ফিনিসিংয়ের কাজ সম্পূর্ণ করতে শেষ সময়ে চলছে দিনরাত কর্মযজ্ঞ। মূলসেতু জুড়ে চলছে রোডমার্কিং, ল্যাম্পপোস্টে বিদ্যুতের ক্যাবল লাইন টানা ও হ্যান্ড রেলিং বসানোর কাজ। এর মধ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত সেতুর রোডমার্কিংয়ের কাজ ৫০ শতাংশ ছাড়িয়েছে বলে প্রকৌশলী সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এদিকে মূল সেতুতে বসবে ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট। এসব ল্যাম্পপোস্টে বিদ্যুতের ক্যাবল সংযোগের কাজও শেষ পর্যায়ে। সমানতালে চলছে হ্যান্ড রেলিং বসানোর কার্যক্রম। সেতুর দুপাড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ম্যুরাল নির্মাণের কাজও চলছে।
প্রকৌশলীরা বলছেন, ১৫ জুনের মধ্যেই বাকি থাকা সব কাজ শেষ করত সক্ষম হবেন তারা। এরপরই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সেতু বুঝিয়ে দিবে কর্তৃপক্ষকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সেতু আলোকিত করতে ল্যাম্পপোস্ট বিদ্যুৎ সংযোগে ক্যাবল লাইন টানার কাজের অগ্রগতি প্রায় ৯০ ভাগ। সেতুর মুন্সিগঞ্জের মাওয়া অংশের কাজ শেষ। জাজিরা অংশে বাকি থাক কাজ এগোচ্ছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে ক্যাবল লাইন টানার কাজ শেষ করতে সক্ষম হবেন প্রকৌশলীরা। এরপরই একযোগে সেতুকে আলোকিত করতে পরীক্ষামূলকভাবে জ্বলে উঠবে লাইটগুলো। মূল সেতুর দুপাড়ের সংযোগ সড়কেও বসবে ২০০ ল্যাম্পপোস্ট। সংযোগ সড়কের ল্যাম্পপোস্টের ফাউন্ডেশনের কাজ শেষ, অগ্রগতি ৫০ শতাংশ। এসব সড়কবাতিতে ক্যাবল কানেকশন দেওয়া হচ্ছে।
ল্যাম্পপোস্ট ক্যাবল টানার কাজ শেষ হলেই মাওয়া অংশে মুন্সিগঞ্জ পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি থেকে কন্টোলরুম পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে।
পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী আহসান উল্লাহ মজুমদার বলেন, সব কাজই এগোচ্ছে সমানতালে। দিনরাত কাজ চলছে। রোডমার্কিংয়ের কাজ অর্ধেক শেষ হয়েছে। বৃষ্টি থাকলে রোডমার্কিংয়ের কাজ হয় না, সড়কপথ শুষ্ক থাকলে কাজ চলে।
তিনি আরও বলেন, সেতুতে প্রতিটি ল্যাম্পপোস্টে বিদ্যুতের ক্যাবল লাগানো হচ্ছে। এক সপ্তাহরে মধ্যে সে কাজও শেষ হবে। এরপরই পরীক্ষামূলক লাইট জ্বলবে। এছাড়া সড়ক পথে হ্যান্ড রেলিং বসানোর কাজ ৪০ শতাংশ এগিয়েছে। ১৫ জুনের মধ্যেই বাকি থাকা সব কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
আরো পড়ুন>>: ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন :প্রধানমন্ত্রী