নিউজ ডেস্ক:
দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে গতকাল ০৪/০৩/২০২২ ইং শুক্রবার শহীদ মিনারে পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণের উদ্দেশ্য গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের মিছিলটি শাহবাগ মোড়ে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়। এ সময় দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা প্রেসক্লাবে সমাবেশ করার পরামর্শ দিলে আমরা শাহবাগ মোড় ঘুরে মিছিলটি নিয়ে প্রেসক্লাবের উদ্দেশ্য রওনা দেই। কিন্তু ঢাকা ক্লাবের সামনে আসতেই রমনা জোনের উপ-পুলিশকমিশনার হারুন অর রশিদের নেতৃত্ব একদল পুলিশ ও সাদা পোষাকের লোক আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। হামলায় ১১২ জন আহত হয়।কোন ধরণের উস্কানি,সংঘর্ষ ছাড়াই পুলিশ ও সাদা পোষাকের লোকজন আমাদের উপর বর্বর হামলা করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
গত বছর ২৭ মার্চ প্রেসক্লাবের সামনে থেকে ছাত্র অধিকার পরিষদের ৪ নেতা রবিউল, সোহাগ, সজল ও আলামিন আটিয়াকে আটক করেও শাহাবাগ থানায় মুখে গামছা ও চোখে কাঁচা মরিচ লাগিয়ে হারুণ অর রশিদ মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বর নির্যাতন করে।গতকালের ঘটনায়ও স্পষ্ট হয়েছে যে হারুন অর রশিদ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়েই সাদা পোষাকের লেকজনসহ আমাদের উপর বর্বর আক্রমণ করে।
আমরা অনতিবিলম্বে হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছে জোরালো দাবি জানাই। ২/১ জন হারুনের জন্য পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতে পারে না।
গণঅধিকার পরিষদের কর্মসূচিতে সহযোগিতা না করে পূর্বঘোষিত কর্মসূচিস্থল ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগকে দিয়ে দখল করিয়ে সরকারি তার জনবিচ্ছিন্ন অবস্থার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদের সমাবেশে বাধা প্রদান করে সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা প্রমাণ করেছে তারা গণবিরোধী রাজনীতি করছে।
দমন-পীড়ন, হামলা-মামলা করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকা যায় না। তাই অনতিবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে এনে অবাধ,সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়ার জোরালো দাবি জানাচ্ছি।
সরকারের বেআইনি আদেশ পালন না করার পাশাপাশি সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিংয়ের মতো গণতান্ত্রিক কর্মসূচি ও সাংবিধানিক অধিকারের প্রশ্নে পুলিশসহ প্রশাসনকেও সহনশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই।
মো. মাহমুদুল হাসান