শিক্ষা ভবিষ্যতে মেগা প্রকল্প হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, এজন্য সরকার শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের প্রাক্কালে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শনকে অনুসরণ করে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এগিয়ে চলছে। কারিগরি শিক্ষার বিষয়ে আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরি। যত দেশ উন্নত হয়েছে তারা সবাই কারিগরি শিক্ষা, গবেষণা এবং উদ্ভাবনকে গুরুত্ব দিয়েছে এবং তার মাধ্যমেই সেসব দেশ সমৃদ্ধি অর্জন করেছে।
শিক্ষার্থীদের তৈরি করার জন্য কর্মমুখী শিক্ষা জরুরি। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই গবেষণা ও উদ্ভাবনে মনোনিবেশ করতে হবে, নতুন জ্ঞান সৃষ্টিতে নিয়োজিত হতে হবে। শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষার মানোন্নয়নে সকল ধরনের প্রচেষ্টায় সম্পৃক্ত থাকবে এবং পরিপূর্ণ পৃষ্ঠপোষকতা দিবে।
তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক বাস্তবতাকে বিবেচনায় নিয়ে ব্লেন্ডেড এডুকেশনের জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। বিজ্ঞান ও প্রজুক্তির ব্যবহারে উদ্ভাবনে দক্ষ হয়ে উঠবে আমাদের শিক্ষার্থীরা, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা এবং এর সকল সম্ভাবনাকে সফলভাবে কাজে লাগানোর মাধ্যমে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাই। আমাদের ২০৪১, ২১০০ সালের সকল যে পরিকল্পনা এবং রূপকল্প রয়েছে, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড যে আমাদের অর্জন করতে হবে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সফল অংশীদার হতে গেলে এর মূল হাতিয়ার হবে শিক্ষা।শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারের বিনিয়োগ বহুগুণ বেড়েছে উল্লেখ করে ডা. দীপু মনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য সকল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চাই।
২০৪১ ও ২১০০ সালের যে আন্তর্জাতিক লক্ষ্যমাত্রা আমরা তা অর্জন করতে চাই। যদিও আমরা এখনও জিডিপির শতকরা ৩ ভাগের কম বিনিয়োগ করছি। কিন্তু টাকার অংকের দিকে তাকালে, শেখ হাসিনার সরকার ২০০৯ সালে যে জাতীয় বাজেট দিয়েছিলেন বর্তমানে শিক্ষার বাজেটই তার চেয়ে বেশি। আমি বিশ্বাস করি আগামী দিনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিক্ষাই হবে বাংলাদেশের মেগা প্রকল্প। দক্ষতা, যোগ্যতায় শিক্ষার্থীদের বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার আহবান জানান তিনি।
প্রকাশ দেব