-
- রাজনীতি
- গণঅধিকার পরিষদের শহীদ নূর হোসেন স্কয়ারে শ্রদ্ধাঞ্জলি
- আপডেট সময় November, 10, 2021, 12:06 pm
- 353 বার পড়া হয়েছে
ডিটেকটিভ ডেস্কঃ
আজ বুধবার (১০ নভেম্বর) ঐতিহাসিক শহীদ নূর হোসেন দিবস। ১৯৮৭ সালের এ দিনে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী গণ-আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট এলাকায় (বর্তমান শহীদ নূর হোসেন স্কয়ার) পুলিশের গুলিতে শহীদ হন নূর হোসেন। বুকে-পিঠে গণতন্ত্র মুক্তি পাক/স্বৈরাচার নিপাত যাক লিখে বিক্ষোভ প্রদর্শনকালে পুলিশ তাকে গুলি করে। এরপর থেকে দিনটি গণতন্ত্র মুক্তি দিবস হিসেবেও পালিত হয়ে আসছে।
দিবসটি উপলক্ষে গণঅধিকার পরিষদের আহব্বায়ক ড.রেজা কিবরিয়া ও সদস্য সচিব নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে বুধবার সকাল ৮টায় রাজধানীর গুলিস্তানে শহীদ নূর হোসেন স্কয়ারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
এ সময় গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক অর্থনীতিবিদ ড.রেজা কিবরিয়া বলন, নুর হোসেনের আত্নত্যাগ ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সামরিক স্বৈরশাসক জেনারেল এরশাদের পতনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলো। জনগণের ভোট ছাড়া ক্ষমতায় থাকা আজকের স্বৈরাচার পতনেও নুর হোসেনের মতো অসংখ্য মানুষ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে গণ অধিকার পরিষদের নেতৃত্বে এই স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনে মানুষকে তার হারানো অধিকার ফিরিয়ে দেবো ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলবো।গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে দেশের জনগণকে গণ অধিকার পরিষদের নেতৃত্বে সারা দেশে সংঘবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাবো।
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুলহক নুর বলেন, নুর হোসেনের আত্নত্যাগ ৯০ এর গণআন্দোলনকে বেগবান করেছিলো। আওয়ামীলীগ নুর হোসেনকে যুবলীগের কর্মী দাবি করলেও আওয়ামীলীগই নুর হোসেনের রক্তের সাথে বেঈমানি করে সামরিক স্বৈরশাসক এরশাদের সাথে জোট করেছে।স্বৈরাচার এরশাদের জোট করে তারা মহা স্বৈরাচারে পরিণত হয়েছে,জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে না পারা অত্যন্ত দুঃখজনক।এ ব্যর্থতা বিদ্যমান রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের। তাই আগামীতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতেই আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে নতুন রাজনৈতিক দল গণ অধিকার পরিষদের গঠন করেছি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নুর হোসেনের আত্নত্যাগের চেতনাকে ধারণ করে গণ অধিকার পরিষদ কাজ করে যাবে।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, গণ অধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খাঁন, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, মাহফুজ খান, সোহরাব হোসেন, সহকারী আহ্বায়ক তামান্না ফেরদৌস শিখা, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব আতাউল্লা, যুগ্ম সদস্য সচিব ফাতেমা তাসনিম, জিলু খান, সহকারী সদস্য সচিব খাইরুল কবীর, নাজমুল হুদা প্রমুখ। একই সময়ে শহীদ নূর হেসেন তত্ত্বরে ছাত্র অধিকার পরিষদ সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও সাধারন সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা রহমতুল্লা,চাঁদপুর জেলার সভাপতি মাহমুদুল হাসান, চাঁদপুর জেলার সভাপতি,শরীয়তপুর জেলার সভাপতি রহমতুল্লা রবীন নিহাল,বাগেরহাট জেলার সভাপতি তোহিদুল ইসলাম তুহিন, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি আপতাফ আহমেদ শুভ, ঢাকা কলেজের সাধারন সম্পাদক নাজমুল হাসান, তিতুমীর কলেজের সাধারন সম্পাদক খোরশেদ আলম,ঢাকা মহানগরের আবীর,রনি,সাইফুল ,যুব অধিকার পরিষদ এবং শ্রমিক অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতৃত্ববৃন্দও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ জাতীয় আরো খবর