দিনাজপুর প্রতিনিধি, সৈয়দ ইমরুল কায়েস রুপমঃ
বুধবার রাত ১২টা ১ মিনিটে আব্দুল হক নামের ওই ব্যক্তির সাজা কার্যকর করা হয়।
জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন বলেন, দিনাজপুরের ডিসি খালেদ মোহাম্মদ জাকি, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, সিভিল সার্জন আব্দুল কুদ্দুছ এবং রংপুরের ডিআইজি (প্রিজনস) রায় কার্যকর করার সময় উপস্থিত ছিলেন।
সাজাপ্রাপ্ত আব্দুল হক রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ভক্তিপুর চৌধুরীপাড়া গ্রামের আছির উদ্দিনের ছেলে।
কারা কর্মকর্তারা জানান, ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্ত্রী বেলি বেগমকে হত্যার দায়ে ২০০৭ সালের ৩ মে রংপুরের নারী ও শিশুনির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আব্দুল হককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার রায় দেয়।
উচ্চ আদালত সাজা বহাল রাখলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করেন আবদুল হক। সেই আবেদন নামঞ্জুর হলে কারা কর্তৃপক্ষ ফাঁসি কার্যকরের উদ্যোগ নেয়।
সেজন্য রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অহিদুল ইসলাম নামে যাজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক কয়েদিকে আনা হয় জল্লাদ হিসাবে।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এটাই দিনাজপুর কারাগারে প্রথম ফাঁসি কার্যকরের ঘটনা বলে জানান কর্মকর্তারা।