দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা দেড় মাসে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৩ হাজার ৫৪৮ জনে। এর আগে একদিনে এর চেয়ে বেশি ৮৮ জনের মৃত্যুর তথ্য এসেছিল গত ২৯ এপ্রিল।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত কিছুদিন হলো ক্রমে বাড়ছে মৃত্যু ও সনাক্তের সংখ্যা। গতকাল মৃত্যু হয়েছিল ৬৭ জনের।
এক দিনে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা আগের দিনে চেয়ে বেড়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬৪১ জন এবং শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এতে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৮ লাখ ৫১ হাজার ৬৬৮। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৫০২ জন এবং এ পর্যন্ত মোট সুস্থ ৭ লাখ ৮২ হাজার ৬৫৫ জন।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।গত ২৪ ঘন্টায় ২২ হাজার ২৩১জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে সর্বপ্রথম করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়। রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আড়াই মাস পর গত বছরের ১০ জুন মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়ায়। এরপর ৫ জুলাই ২ হাজার, ২৮ জুলাই ৩ হাজার, ২৫ অগাস্ট ৪ হাজার, ২২ সেপ্টেম্বর ৫ হাজার ছাড়ায় মৃতের সংখ্যা।
এরপর কমে আসে দৈনিক মৃত্যু। ৪ নভেম্বর ৬ হাজার, ১২ ডিসেম্বর ৭ হাজারের ঘর ছাড়ায় মৃত্যুর সংখ্যা। এ বছরের ২৩ জানুয়ারি ৮ হাজার এবং ৩১ মার্চ মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়ায়। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর ১৫ দিনেই এক হাজার রোগীর মৃত্যু ঘটে, গত ১৫ এপ্রিল মৃতের মোট সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর পরের এক হাজার মৃত্যু ঘটতে সময় লাগে আরো কম, মাত্র দশ দিনে মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়ে যায় ২৫ এপ্রিল। তার ১৬ দিন পর ১১ মে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এক মাসের মাথায় শুক্রবার তা ১৩ হাজার ছাড়াল। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে কোনোরকম ঝুঁকি না নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য কোনো এলাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেশি হলে সেসব এলাকায় চলাচলসহ অন্যান্য কার্যক্রম স্থানীয়ভাবে বন্ধ (ব্লক) করে করোনা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করতে বলেছেন। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে আবারো মনে করিয়ে দিতে বলেছেন তিনি।
বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৭ কোটি ৭৪ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩৮ লাখ ৪২ হাজারের বেশি মানুষের।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বোঝার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা অন্তত দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।
//ইয়াসিন//