স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠক আজ
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের বৈঠক ডেকেছেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় রাজধানীর গুলশানে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণার প্রেক্ষাপটে এ বৈঠক ডাকেন তিনি। বিএনপি-জামায়াত জোটের ২০০১-২০০৬ মেয়াদের সরকারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের ওই মামলার প্রধান আসামি। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় গুলশানের কার্যালয়ে জাতীয় স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন ম্যাডাম। দলের স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনের আগে বছরখানেক হাতে থাকতে ওই রায় সামনে রেখে শনিবারের বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন তারা। বিএনপির একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেছেন, দলের পরবর্তী কর্মকৌশল ঠিক করা হতে পারে এই বৈঠকে। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করবে ঢাকার পঞ্চম জজ আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত হলে এ মামলায় খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। সেক্ষেত্রে তিনি আগামি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অযোগ্য হয়ে পড়বেন। খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানও এ মামলার আসামি। মুদ্রা পাচারের দায়ে সাত বছর কারাদণ্ডের রায় মাথায় নিয়ে পালিয়ে আছেন দেশের বাইরে। এ মামলাতেও তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। বিএনপি অভিযোগ করে আসছে, ক্ষমতাসীনরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে ‘অন্তঃসারশূন্য’ এই মামলাকে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত বৃহস্পতিবারও বলেছেন, তাদের চেয়ারপারসনকে সাজা দেওয়ার বিষয়টি সরকার ‘আগেই ঠিক করে রেখেছে’। খালেদা জিয়া নিজেও আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে তাকে ‘সরাতে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার নীলনকশা’ বাস্তবায়ন করছে ক্ষমতাসীনরা। আদালতে ন্যায়বিচার পাবেন কি না- তা নিয়েও তিনি সংশয় প্রকাশ করেছেন। এর আগে ১৪ জানুয়ারি সবশেষ জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বিএনপি প্রধান। বৈঠকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন উপ-নির্বাচনের প্রার্থী নির্ধারণ এবং জোটের শরিক দলের নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল।