September 21, 2024, 11:34 am

সংবাদ শিরোনাম
দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফর রহমান মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার বন্ধে কুড়িগ্রামে জলবায়ু ধর্মঘট খুলনা দৌলতপুর রেলস্টেশন ও মহসিন মোড় কাঁচাবাজারে এলাকাবাসীর উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা অভিযান সংসার রেখে ডলিতে আসক্ত কয়েছ৷ বিয়ে ছাড়াই এক সাথে বসবাস ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে তিন লাখ জাল টাকা এবং জাল টাকা তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামাদিসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ যশোরের সাবেক এসপি আশরাফুল সহ ১০ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা কুড়িগ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় প্রভাবশালীদের মৎস্য চাষ প্রতিষ্ঠার পর থেকে নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত ক্ষেতলাল পৌরসভার বাসিন্দা উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরে বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ সন্ত্রাসী আটক কুড়িগ্রামের চিলমারীতে আশ্রয়নের ঘর বানিজ্য
ফাইল ছবি

টাঙ্গাইলে পর পর তিন দফা বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত ৭৮৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

আফিজ ইকবাল,টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ

ফাইল ছবি

টাঙ্গাইলে পর পর তিন দফা বন্যায় প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।৭৮৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিদ্যালয়ের ভবন ও মাঠ ধস এবং আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে ১৩ কোটি ৪১ লাখ ৩১ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।এছাড়াও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত দোতলা ভবন যমুনার গর্ভে চলে গেছে।করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকা প্রতিষ্ঠান খোলার পরে পাঠদানে ভোগান্তি হবে বলে জানিয়েছেন একাধিক শিক্ষক।তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংস্কার করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে ১০টি উপজেলার ৫৬৬ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮ কোটি ৩৯ লাখ ৩১ হাজার টাকা, ১৪২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুই কোটি ৪৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা, ৬৮টি মাদ্রাসার এক কোটি ৪৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং ১২টি কলেজের ৩৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।এর মধ্যে সদর উপজেলার ১০০টি প্রাথমিক বিদ্যা লয়ের ৫৪ লাখ ১০ হাজার টাকা, ২০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, তিনটি কলেজের ৯ লাখ টাকা ও ১১টি মাদ্রাসার ৪৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।দেলদুয়ারে ৮১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪২ লাখ ৩৬ হাজার টাকা, দুইটি মাধ্যমিক বিদ্যাল য়ের এক লাখ টাকা এবং দুইটি মাদ্রাসার এক লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।কালিহাতীতে ৭৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮৬ লাখ ২০ হাজার টাকা, ৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ লাখ টাকা, চারটি মাদ্রাসার ৬ লাখ ৬ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।নাগরপুরে ৩৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫০ লাখ ৯০ হাজার টাকা, ১৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫০ লাখ ৫০ হাজার টাকা, দুইটি কলেজের পাঁচ লাখ টাকা ও সাতটি মাদ্রাসার ১৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।সখীপুরে সাতটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা, তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাত লাখ টাকা, একটি কলেজের এক লাখ টাকা ও একটি মাদ্রাসার তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা, ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।মির্জাপুরে ৮৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ৩১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, পাঁচটি মাদ্রাসার চার লাখ ২৫ হাজার টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভূঞাপুরে ৬১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক কোটি ১৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ১৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৬ লাখ টাকা, একটি কলেজের এক লাখ টাকা ও ১৪টি মাদ্রাসার ১৪ লাখ টাকা, ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।ঘাটাইলে ৪৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ১০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ছয়টি মাদ্রাসার ১৩ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।গোপালপুরে ৫৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, দুইটি কলেজের আট লাখ টাকা ও পাঁচটি মাদ্রাসার ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।বাসাইলে ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আট লাখ ৭০ হাজার টাকা, ২১টি মাধ্যমিক বিদ্যাল য়ের ৫৫ লাখ টাকা, তিনটি কলেজের ১০ লাখ টাকা ও ১১টি মাদ্রাসার ২৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।এছাড়া বন্যার পানিতে ধনবাড়ী ও মধুপুর উপজেলার কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।এ দিকে গত ১৩ জুন নাগরপুর উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের পাইকশা মাইঝাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত দোতলা ভবনটি যমুনা নদীর গর্ভে চলে যায়।এতে এক কোটি ২০ টাকার মতো ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।পাইকশা মাইঝাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারা খানম জানান, গত বছর বন্যায় এ এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দেয়।সে সময় যদি ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতো তাহলে আজ তাদের বিদ্যালয়টি যমুনায় বিলীন হয়ে যেত না।বেড়বুচনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি নাসির উদ্দিন জানান, বিদ্যালয়টি পৌর এলাকার মধ্যে হলেও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টিতেই বিদ্যালয়ের মাঠে হাঁটু পানি জমে।দ্রুত সময়ের পানি প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানান তিনি।জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা খানম জানান,ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা করে ঢাকা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর বরাবর পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার করা হবে।

প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৪ আগষ্ট ২০২০/ইকবাল

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর