কবীর হোসেন,আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
আলফাডাঙ্গায় কলেজ ছাত্রের হত্যার ঘটনায় উপজেলা বানা ইউনিয়নের কৃষকলীগের সভাপতি শরীফ হারুন অর রশীদসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা হয়েছে। মামলা নং ২ (তাং ১৭.৮.২০২০ খ্রিঃ)।
গত সোমবার দিবাগত রাতে নিহত ছাত্রের চাচা উপজেলার বানা ইউনিয়নের আওয়ামীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে সাত জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার এজাহার ভূক্ত ২নং নজরুল শরীফ(৪২), ৩নং আসামী সবুজ(২০) ও ৪নং মারিয়া খানম(১৫) নামক আসামীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে গতকাল সোমবার সকালে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।জানা যায় ,গত ১৫ আগস্ট শনিবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার বানা ইউনিয়নের কৃষকলীগের সভাপতি শরীফ হারুন-অর-রশীদের বাড়ির নিচ তলার একটি কক্ষ থেকে আশিক রানা নামে এক কলেজ ছাত্রের মরাদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ।নিহত আশিক রানা বানা ইউনিয়নের কুঠরাকান্দি গ্রামের সৌদি প্রাবাসী আলমগীর শেখের বড় ছেলে। তিনি ফরিদপুর মুসলিম মিশন কলেজের একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।নিহত আশিক রানার চাচা বানা ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির আলম বলেন, শরীফ হারুন-অর-রশীদ আমাকে রাত একটার পরে ফোন দিয়ে বলে- তোমার ভাতিজা আমার বাড়িতে আছে, তোমরা গিয়ে নিয়ে আসো। এ খবর পেয়ে আমি ও আমার ছোট ভাই গিয়ে তাদের বাড়ির মূল ফটক তালাবদ্ধ দেখে প্রতিবেশী নওশের শেখ ও ওবাইদুল মোল্যা তাদের বাড়ির মধ্যে পাঠাই। তারা বাড়ির পিছন দিয়ে প্রবেশ করে বিল্ডিংয়ের নিচ তলায় একটি রুমর মধ্যে ফ্যানের সাথে গলায় গামছা পেঁচানো লাশ ঝুলতে দেখে আমাদের খরব দেয়। আমরা এ ঘটনা তৎক্ষণিক পুলিশকে জানাই।তিনি বলেন, আমাদের দাবি এটা একটি পরিকল্পিত হত্যা, শরীফ হারুন-অর-রশীদের হুকুমে তার ভাই নজরুল শরীফের লোকজন মিলে আমার ভাতিজা আশিক রানাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নিহত ওই ছাত্রের চাচা জাহাঙ্গীর বলেন, হারুন শরীফের মেয়ে মারিয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্ক জেরে এ হত্যার ঘটনা হয়েছে বলে আমি মনে করি।এলাকাবাসী জানায়, কঠুরাকান্দি গ্রামে দুই পরিবারের লোকজন দুটি পক্ষের নেতৃত্বে দেয়। দুই পরিবারে মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসচ্ছে। আসাসী গ্রেফতার ও জেল হাজতে পাঠানোর বিষয় নিশ্চিত করে ওসি রেজাউল করিম বলেন, বাকী আসামী আটক করার জন্য পুলিশের প্রচেষ্টা ও তৎপর থাকবে।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১৭ আগষ্ট ২০২০/ইকবাল