মোঃ নূরুল ইসলাম রায়হান,দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
‘বাবারে অন্তত নিজের জন্য এবং নিজের পরিবারের সুরক্ষার জন্য মুখে মাস্ক ব্যবহার করেন।করোনার এই মহামারী থেকে রক্ষার জন্য অন্তত এইটুকু করেন।এতে আপনারা ভালো থাকবেন, মানুষ ভালো থাকবে এবং দেশ ভালো থাকবে।এভাবেই রাস্তায় রাস্তায় এবং বিভিন্ন বাজারে ঘুরে আবাল-বৃদ্ধ-বণিতাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে আকুতি জানাচ্ছেন দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম।গত ৭ আগষ্ট ২০২০ ইং তারিখ শুক্রবার ছুটির দিনেও পরিবার-পরিজনকে সময় না দিয়ে বা অবসর সময় না কাটিয়ে দিনাজপুরের বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীদের নিয়ে একেবারেই সাধারণ বেশে রাস্তায় নামেন জেলা প্রশাসক।নেননি কোনো সরকারি গাড়ি।তীব্র রোদ আর ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করে মানুষকে সচেতন করার জন্য এবং করোনা মহামারী থেকে সবাইকে রক্ষার জন্য ভিন্নধর্মী এ প্রচারণায় নামেন জেলা প্রশাসক।হাতে মাস্ক নিয়ে নিজ হাতে কারও মুখে মাস্ক পরিয়ে দেন, আবার কাউকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়ে অনুরোধও জানান।রাস্তায় বিভিন্ন রিকশা, অটোরিকশা যাত্রী, মোটরসাইকেল আরোহী, মাছ-মাংস-সবজিসহ বিভিন্ন ফুটপাতের দোকানে ঘুরে ঘুরে দোকানদার এবং ক্রেতাদের মাস্ক পরার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।এ সময় প্রাইভেট ডিটেকটিভের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, একমাত্র সচেতনতাই পারে করোনা মহামারী থেকে মুক্ত রাখতে।তাই প্রশাসনিক বলপ্রয়োগ না করে আগে মানুষকে বোঝাতে হবে, মানুষকে সুরক্ষার জন্য সচেতন করতে হবে।আর এ কাজটি করার জন্যই তিনি মাঠে নেমেছেন।তিনি বলেন, মাস্ক না পরার জন্য আপাতত কাউকে জরিমানা করা হচ্ছে না।আগে সচেতন করতে হবে। করোনা থেকে রক্ষার জন্য মাস্ক পরার উপকারিতা বোঝাতে হবে।তাহলে নিশ্চয়ই নিজের ভালো বুঝতে পেরেই মানুষ মাস্ক পরবেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।এরপরও যদি কেউ বুঝতে না চান, তাহলে সেক্ষেত্রে তাকে জরিমানা করা হবে।তবে আগে জরিমানা নয়, আপাতত সচেতন করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। জেলা প্রশাসক জানান, এ কার্যক্রম আগামী ১৪ দিন চলবে।দিনভর এ সচেতনতামূলক কার্যক্রমে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে অংশ নেন- স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলোর পথে জাগো যুব দিনাজপুর, নাগরিক উদ্যোগ, স্কাউট, শিক্ষকসহ দিনাজপুরের বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের শতাধিক কর্মী।শহরের ১০টি পয়েন্টে চালানো হয় এ সচেতনামূলক অভিযান। চলবে আগামী ১৪ দিন।আলোর পথে জাগো যুব সংগঠনের সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন জানান, এভাবে মানুষকে সচেতন করার কার্যক্রম চালালে নিশ্চয়ই দিনাজপুরকে করোনামুক্ত করা সম্ভব হবে।উল্লেখ্য, দিনাজপুর জেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৮০ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪২ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ হাজার ৩৬৮ জন।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১৪ আগষ্ট ২০২০/ইকবাল