মোঃ এমদাদ উল্যাহ,চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাড়ির জায়গা নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন কর্তৃক প্রাণনাশের হুমকিসহ হয়রানীর অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সামিনা বেগম। এদিকে সাবেক সেনা সদস্য আবদুল আহাদ বাচ্চু মজুমদারের স্ট্রকে মৃত্যুর পর প্রতিপক্ষের লোকেরা ৯৯৯-এ কল করে পুলিশকে খবর দিয়ে হত্যা হয়েছে বলে অভিযোগ করে হয়রানী করে। উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের চাঁপাচৌ গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে চাপাচৌ গ্রামের আরিফ গংয়ের সাথে সামিনা বেগমের বাড়ির জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে দিন ও রাতে মৃত গোলাফের রহমানের ছেলে আরিফ, আদনান, স্ত্রী খুরশিদা বেগম, মেয়ে শিফা আক্তার পাশের বাড়ির সামিনা বেগমের ঘরকে উদ্দেশ্য করে ইট পাথর ও পায়খানার ময়লা আবর্জনা নিক্ষেপ করে। এছাড়া আরিফ গং ৫ শতক জায়গা জোরপূর্বক দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে রেখেছে। এ ঘটনায় কুমিল্লার আদালতে দায়েরকৃত মামলায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। করোনা মহামারীর সময়ে পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করেনি। এরই মধ্যে আরিফ গং শামিনা বেগমের পরিবারের এক লাখ টাকা মূল্যের টিন নষ্ট করে দেয়। গত ৪ আগস্ট শামিনা বেগমের স্বামী সাবেক সেনা সদস্য আবদুল আহাদ বাচ্চু মজুমদার ষ্ট্রকে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর ঘটনাটি ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য আরিফ গং জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ কল করে অভিযোগ করে বাচ্চু মজুমদার নামে এক সেনা সদস্য হত্যা হয়েছে। এমন অভিযোগ পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের একটি টিম বাচ্চু মজুমদারের লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য উদ্ধার করে। পরে লাশটি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। পরদিন ৫ আগস্ট সেনা সদস্যের উপস্থিতিতে লাশটি দাফন করা হয়। আরিফ গংয়ের অপ-প্রচারে পুরো এলাকায় সেনা সদস্য বাচ্চু মজুমদারের মৃত্যু নিয়ে একটি গুঞ্জন শুরু হয়। কিন্তু পুলিশের সুরতহাল রিপোর্টে লাশের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এদিকে সেনা সদস্য বাচ্চু মজুমদারের মৃত্যুর পর আরিফ গং শামিনা বেগমের পরিবারের উপর নির্যাতন আরও বাড়িয়ে দেয়। মরহুমের আত্মীয় আবদুর রহিম জানান, ‘জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে আরিফ গংয়ের অত্যাচারের মাত্রা বেড়েই চলছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে আরিফ গংয়ের বিচার চাই’।স্থানীয় আ’লীগ নেতা ও গুণবতী বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক জানান, ‘বাচ্চু মজুমদারের পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে আরিফ গংয়ের জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগেও বাচ্চু মজুমদারের সাথে মোবাইলে কথা হয়েছে। স্ট্রকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু একজনের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়’।এ ব্যাপারে বুধবার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কনকাপৈত পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ কাউছার বলেন, ‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই সেনা সদস্য বাচ্চু মজুমদারের মৃত্যু কিভাবে হয়েছে জানা যাবে’।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১২ আগষ্ট ২০২০/ইকবাল