-
- সারাদেশে, স্বাস্থ্য
- মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ও দূর্নীতি অভিযোগ
- আপডেট সময় August, 7, 2020, 11:21 pm
- 238 বার পড়া হয়েছে
মেহেদী হাসান,মিঠাপুকুর(রংপুর)প্রতিনিধিঃ
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪৯ লাখ টাকার মালামাল ক্রয়ের ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে মালামাল সরবরাহ না করেই বিল উত্তোলন করা হয়েছে বলে জানা যায়।এছাড়াও, একই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পেয়েছেন সবগুলো কাজ।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ওষুধপত্র, যন্ত্রপাতি, লিলেন সামগ্রী, গজ, ব্যান্ডেজ ও তুলা, ক্যামিকেল-রি-এজেন্ট এবং আসবাবপত্র (এমএসআর সামগ্রী) ক্রয়ের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। ৬ টি গ্রুপের মধ্যে মালামাল ক্রয়ের ৫টি কার্যাদেশ পান রংপুরের মেধা কন্সস্ট্রাকশন ও একটি পান নিপুন প্রযুক্তি নামে আরেক প্রতিষ্ঠান। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে মালামাল সরবরাহের চুক্তিপত্র থাকলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মালামাল পায়নি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু, রহস্যজনক কারণে ৪৮ লাখ ৪৮ লাখ ৯৮ হাজার ৯শ ৩৭ টাকা বিল উত্তোলন করে নিয়ে গেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।মালামাল ক্রয় কমিটি সদস্য ডা. আব্দুল হালিম লাবলু বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে সবগুলো বিল উত্তোলন করেছে। কিছুকিছু মালামাল সরবরাহ্ করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।সরেজমিনে মিঠাপুকুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, মালামাল সামগ্রী না থাকার কারণে রোগীরা নিজেরাই মালামাল ক্রয় করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এসময় কথা হয় ময়েনপুর ইউনিয়নের একজন রোগীর স্বজন সেফাউল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে কোন মালপত্র পাচ্ছি না। সরবরাহ্ না থাকায় বহিরাগত ওষূধের দোকান হতে জরুরী সামগ্রী কিনতে হচ্ছে। স্থানীয় মতি মিয়া বলেন, দির্ঘদিন ধরে মিঠাপুকুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স একটি চক্র নিয়ন্ত্রন করছেন। ওই চক্রটি টেন্ডার জালিয়াতির মাধ্যমে বিল উত্তোলন করলেও কোন মালামাল সরবরাহ্ করেননি। এরফলে, চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারন মানুষকে। কয়েকজন স্থানীয় অভিযোগ করে বলেন, ৬টি কাজের মধ্যে রহস্যজনক কারণে দু’টি প্রতিষ্ঠানই সবগুলো পেয়েছেন। মালামাল সরবরাহ্ না করেই বিলও উত্তোলন করেছেন তারা।অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম বলেন, মালামাল ক্রয়ের ৬টি কাজের মধ্যে রংপুরের মেধা কন্সস্ট্রাকশন ৫টি ও একটি পেয়েছেন নিপুন প্রযুক্তি। তারা কিছু মালামাল সরবরাহ করেছেন। কিন্তু, পুরো বিলের টাকা তাদের প্রদান করা হয়েছে। এজন্য একটি অপ্রতিষ্ঠানিক চুক্তিপত্র করা হয়েছে তাদের সাথে।মেধা কন্সস্ট্রাকশনের কর্নধার আলমাস হোসেন বলেন, স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে ৪০ লাখ টাকার একটি চেক, ৩শ টাকার স্টাম্পে চুক্তিপত্র করে বিলগুলো উত্তোলন করা হয়েছে। কিছু মালামাল সরবরাহ্ করা হয়েছে। বাকিগুলোও সরবরাহ্ করা হবে।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/৭ আগষ্ট ২০২০/ইকবাল
এ জাতীয় আরো খবর