September 19, 2024, 9:43 am

এই নরপশু বাবা পৃথিবীর সব বাবাকে কলঙ্কিত করলো

এই নরপশু বাবা পৃথিবীর সব বাবাকে কলঙ্কিত করলো

নিজের জন্মদাতা বাবা। যার মাধ্যমে সুন্দর এই পৃথিবীর আলো দেখার সৌভাগ্য। যার কাছে থাকলে মনে হত নিজেকে সব চাইতে নিরাপদ। সেই জন্মদাতা বাবার কাছেই ১৪ থেকে ১৫ বার ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১২ বছর বয়সের এক শিশু কন্যা। নেক্কার এই ঘটনাটি ঘটিয়ে পৃথিবীর সব বাবাকে কলঙ্কিত করলো নরপশু এই বাবা!

ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়ন দরবেশহাট সংলগ্ন শাহপীর পাড়ায়।

ঘটনার সত্যতা নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে চট্টগ্রাম শহরের ডবলমুরিং এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে পিতা আবদুল মাবুদকে। গ্রেফতারের পর শনিবার রাতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় লোহাগাড়া থানায়।

 

লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহজাহান পিপিএম (বার) আপন কন্যাকে ধর্ষণের মামলায় পিতা আবদুল মাবুদকে গ্রেফতারের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শিশুটির নানা এয়াকুব আলী গত ৭ অক্টোবর শনিবার সকালে ধর্ষণ মামলাটি দায়ের করেন। আর দুপুরে ধর্ষক পিতা আবদুল মাবুদকে চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

মামলার বিবরণ মতে তিনি জানান, ধর্ষক আবদুল মাবুদ তার একমাত্র ১২ বছরের শিশু কন্যাকে বহুদিন থেকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আসছে। এ পর্যন্ত ১৪-১৫ বার ধর্ষণ করেছে। যা সহ্য করতে না পেরে আত্বীয়স্বজন ও স্থানীয় প্রতিবেশীদের বলে দেয়।

বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হলে এ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ফলে স্থানীয় সাংবাদিকরা শিশু কন্যাটির পাশে দাড়ায়। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী পর্যন্ত গড়ায়। ফলে মামলা দায়েরের পর সংসদ সদস্যসহ সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান মোল্লা ধর্ষক আব্দুল মাবুদকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।

পরে ব্যাপক অনুসন্ধানের পর গোপন সূত্রে জানা যায়, ধর্ষক আব্দুল মাবুদ চট্টগ্রাম শহরে অবস্থান করছেন। বিষয়টি নিশ্চিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে লোহাগাড়া থানা পুলিশের একটি টিম চট্টগ্রাম শহরে পাঠায়। সেখানে ডবল মুরিং থানার ওসি মহিউদ্দিন সেলিমের সহায়তায় আব্দুল মাবুদকে ওই এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

মামলার বাদী এয়াকুব আলী জানান, ধর্ষক আবদুল মাবুদ লোহাগাড়া উপজেলা সদর ইউনিয়ন লোহাগাড়া দরবেশহাট সংলগ্ন শাহপীর পাড়ার ওসমান গণির পুত্র। ১৪-১৫ বছর আগে আবদুল মাবুদের সাথে তার মেয়ের বিয়ে হয়। কিন্তু এক কন্যা সন্তানের জন্মের পর মেয়েকে তালাক দিয়ে তার ঘর থেকে বের করে দেয়। সে বর্তমানে অন্যত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সংসার করছে। সে কারণে ধর্ষিতা শিশু কন্যা তার পিতার সঙ্গে ছিল।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর