September 21, 2024, 8:06 pm

সংবাদ শিরোনাম
কু‌ড়িগ্রা‌মের উলিপু‌রে বিদ‌্যুৎস্পৃষ্টএক যুব‌কের মৃত্যু যশোরে বালিচাপা অবস্থায় প্রতিবন্ধী যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে ৪০ পিস ইয়াবা ও ১ টি ভ্যান জব্দসহ ২ জন মাদক কারবারি গ্রেফতার জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফর রহমান মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার বন্ধে কুড়িগ্রামে জলবায়ু ধর্মঘট খুলনা দৌলতপুর রেলস্টেশন ও মহসিন মোড় কাঁচাবাজারে এলাকাবাসীর উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা অভিযান সংসার রেখে ডলিতে আসক্ত কয়েছ৷ বিয়ে ছাড়াই এক সাথে বসবাস ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে তিন লাখ জাল টাকা এবং জাল টাকা তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামাদিসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ যশোরের সাবেক এসপি আশরাফুল সহ ১০ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

ফলো-আপ পীরগঞ্জের ছাতুয়া মাদ্রাসা সুপার কর্তৃক আরও একটি অসহায় পরিবার প্রতারিত হয়ে দিশেহারা

মোস্তফা মিয়া,পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধিঃ

রংপুরের পীরগঞ্জের ছাতুয়া দ্বিমূখী দাখিল মাদ্রাসা সুপার এ কে এম শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আরও একটি অসহায় পরিবারের নিকট চাকুরি দেয়ার নাম করে প্রতারনার মাধ্যমে ৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে উক্ত ম্দ্রাসা সুপারের প্রতারনার ফাঁদে পা দিয়ে লক্ষ লক্ষ খুইয়ে নিঃস্ব হওয়ায় তিনটি পরিবার মুখ খুলেছে।এলাকাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উক্ত মাদ্রাসা সুপার মাদ্রসা প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে ইসলাম ভিরু আরবি শিক্ষানুরাগী লোকদের সাথে প্রতারনার মাধ্যমে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতা, জমিদাতা, দাতা সদস্য, চাকরি প্রত্যাশি অসংখ্য পরিবারের কাছ থেকে বিনামুল্যে মাদ্রাসার নামে জমিসহ লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। এলাকার ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এ নিয়ে ইচ্ছে থাকলেও মুখ খোলেনি অনেকে। অবার কেহ মূখ খুললেও তাদের মিথ্যা মাদকের মামলাসহ স্থানীয় বখাটেদের দিয়ে প্রান নাশের হুমকি দেয় উক্ত সুপার। উক্ত মাদ্রাসা সুপার কর্তৃক প্রতারিত হওয়া অন্যান্যদের মধ্যে টুকুরিয়া ইউনিয়নের ছাতুয়া গ্রামের দারিদ্র পরিবারের রফিকুল ইসলামের কন্যা কুলছুমা খাতুন (২৬)।গত ৭ জুলাই বিষয়টি সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে জানাযায়, উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম পিয়ন তোফাজ্জল হোসেন এর সহযোগিতায় কুলছুমা খাতুনকে আয়া পদে চাকুরি দেয়ার প্রতিশ্রæতিতে প্রায় ২ বছর পুর্বে কাউকে না জানার শর্তে নগদ ৪ লক্ষ টাকা গ্রহন করে সুপার। যা শেষ সম্বল আবাদি জমি বিক্রি করে প্রদান করে কুলছুমার বাবা। চাকুরি হলে মাদ্রসা সংলগ্ন কুলছুমাদের বসত বাড়ীর ভিটের ৩ শতক জমিও লিখে দিতে হবে সুপারকে। মেয়ের চাকুরির কথা ভেবে তাতেও রাজি তার বাবা। কিন্তু উক্ত টাকা গ্রহনের কিছুদিন পর আবারও প্রতারক সুপার তাদের মাদ্রাসায় ডেকে জানিয়ে দেয় যে, চাকুরি নিতে আরও ৫ লক্ষ টাকা গুনতে হবে তাদের, নইলে অন্য প্রাথীকে নেয়া হবে। যা তাদের পক্ষে পুরন করা কখনোই সম্ভব হবেনা, বাধ্য হয়ে তারা প্রদানকৃত ৩ লক্ষ টাকা ফেরত চান সুপারের নিকট। কিন্তু সুপার উক্ত টাকা ফেরতের আশ^াস দিলেও বর্তমানে তা অস্বীকার করছেন বলে জানায়, মনোয়ার হোসেন, হাজের উদ্দিন, আব্দুর রশিদ, ইয়াছিন মিয়া, আজাহার মিয়া, আলম উদ্দিন সহ এলাকার প্রায় শতাধিক ব্যাক্তি। চাকুরি প্রত্যাশী কুলছুমা ও তার বাবা, সুপারের প্রতারনায় ৩ লক্ষ টাকা খুইয়ে বর্তমানে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। দিনের পর দিন এ অসহায় পরিবারটি স্থানীয় চেয়ারম্যান সহ সুপারের নিকট ধর্না দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না।উল্লেখ্য, ইতিপুর্বে উক্ত প্রতারক মাদ্রাসা সুপার ৬ নং টুকুরিয়া ইউনিয়নের ছাতুয়া গ্রামের আফজাল হোসেনের পুত্র হারুনুর রশিদ ও পুত্রবধু সুলতানা বেগমের নিকট থেকেও আয়া এবং পিয়ন পদের চাকুরীর প্রলোভনে ৪ লক্ষ টাকা গ্রহন করে অনুরুপ প্রতারনা করেছে। যা নিয়ে গত ৩ জুন/২০ ইং তারিখে পীরগঞ্জের সাংসদ মাননীয় স্পিকার, শিক্ষামন্ত্রী, চেয়ারম্যান শিক্ষাবোর্ড, উপ-পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, জেলা শিক্ষা অফিস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যান এর নিকট প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ দিয়েছে।এ ব্যাপারে মাদ্রাসা সুপার এ কে এম শহিদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি কোন টাকা গ্রহন করেনি আমার বিরোদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা বানোয়াট। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির বর্তমান সভাপতি রফিকুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনিও বিষয়টি অস্বীকার করে।অপরদিকে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির প্রাক্তন সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনা সত্য ইতি পুর্বেও আমি সুপারের বেশ কয়েকটি চাকুরি প্রত্যাশির লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেনের শালিশ করেছি এবং এখনো কয়েক জনের অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল মোমিন বলেন, বিষয়টি জেনেছি কিন্তু এ সকল বিষয় প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির উপর নির্ভর করে, তার পরেও ঘটনার সত্যতা প্রমান পেলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করব।অপরদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেসবাহুল হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি সবে নতুন এসেছি বিষয়টি সম্পর্কে এখন ও সঠিক করে বলতে পারছি না, তবে অভিযোগ থাকলে অবশ্যই দেখা হবে।

প্রাইভেট ডিটেকটিভ/৯ জুলাই ২০২০/ইকবাল

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর