ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
করোনায় সংক্রমণ গতকাল ৪ জুলাই ২০২০ ইং তারিখ শনিবার রেকর্ডসংখ্যক বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত ২৪ ঘণ্টায় দুই লাখ ১২ হাজার ৩২৬ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে।মহামারী সংক্রমণের এই বিরাট সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত।এর আগে গত ২৮ জুন একদিনে এক লাখ ৮৯ হাজার ৭৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।তবে একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা পাঁচ হাজারেই স্থিতিশীল রয়েছে।রয়টার্সের হিসাবে, গত ৩ জুলাই ২০২০ ইং তারিখ শুক্রবার পর্যন্ত বিশ্বে এক কোটি ১০ লাখ লোক ভাইরাসটিতে সংক্রমতি হয়েছেন।এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের নতুন হটস্পট হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে ফ্লোরিডা ও টেক্সাস। করোনা আক্রান্তের দৈনিক হিসাবে রাজ্য দুটিতে অতিরিক্ত ২০ হাজার লোক সংক্রমিত হয়েছেন।এই অতি সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে টেক্সাসে সর্বাধিক সংখ্যক রোগী ভর্তি হয়েছেন।গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২৩৮ রোগী ভর্তির পর রাজ্যটিতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোট রোগীর সংখ্যা এখন সাত হাজার ৮৯০ জন।কয়েক মাস আগেও মহামারী কেন্দ্রভূমি ছিল নিউইয়র্ক।গতকাল ৪ জুলাই ২০২০ ইং তারিখ শনিবার রাজ্যটিতে ৮৪৪ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অথচ করোনা সংকট যখন চূড়ায় উঠেছিল, তখন রাজ্যটিতে হাসপাতালের ১৯ হাজার শয্যা কোভিড-১৯ রোগীরা দখল করেছিলেন।কেবল জুলাইয়ের প্রথম চারদিনেই যুক্তরাষ্ট্রের ১৪টি রাজ্যে মহামারী সংক্রমণ রেকর্ডসংখ্যক বেড়েছে। রোগটিতে এখন পর্যন্ত এক লাখ ৩০ হাজার আমেরিকানের মৃত্যু হয়েছে।দেশটিতে ভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে।ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস ও ফ্লোরিডার মতো জনবহুল রাজ্যসহ অন্তত ১৮টি রাজ্যে গত দু সপ্তাহে রোগনির্ণয় পরীক্ষার আনুপাতিক হারে অশুভ ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে সাম্প্রতিক করোনা প্রাদুর্ভাবের উত্থান দেখা গেছে। অথচ মহামারীর শুরুর দিকেই এসব রাজ্যে বাধ্যতামূলক ব্যবসায়িক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল।গতকাল ৪ জুলাই ২০২০ ইং তারিখ শনিবার ফ্লোরিডায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ডসংখ্যক ১১ হাজার ৪৫৮ জন বেড়েছে। রাজ্যটির স্বাস্থ্যবিভাগে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে। অর্থাৎ রাজ্যটিতে তিন দিনের মধ্যেই দ্বিতীবারের মতো করোনা সংক্রমণ দিনে ১০ হাজার ছাড়িয়েছে।আর টেক্সাসে শনিবার আট হাজার ২৫৮ রোগী করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। আর শুক্রবারে নর্থ ক্যারোলাইনা, সাউথ ক্যারোলাইনা, টেনেসি, আলাস্কা, মিসৌরি, আইদাহো, আলবামায় সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছেন।তবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও মৃত্যুর হার সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কমেছে। তরুণ ও স্বাস্থ্যবান লোকজনের মধ্যেও করোনা আক্রান্ত বেড়েছে।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/৫ জুলাই ২০২০/ইকবাল