খায়রুল ইসলাম পলাশ,ঝালকাঠি প্রতিনিধি :
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে হতদরিদ্রদের ১০ টাকা কেজির চাল আত্মসাতের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে সুবিধা বঞ্চিতরা। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে কেওতা বাজার এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করেছেন। পরে সুবিধা বঞ্চিতরা উপজেলা নির্বাহি অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘণ্টাব্যাপি এ কর্মসূচিতে সুবিধা বঞ্চিতরা অভিযোগ করে জানান, স্থানীয় কেওতা গ্রামের ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান ২০১৬ সালে ওই এলাকার সুবিধা বঞ্চিত ১৩৭ জনের নামে হতদরিদ্রদের জন্য খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় নামের তালিকা প্রনয়ন করে, তার মধ্যে নিজের এবং স্ত্রীসহ আত্মীয়স্বজনের নাম অন্তর্ভূক্ত করেছে। এছাড়া ১৩৭ জনের নাম থাকলেও হাতে ঘোনা কয়েক ব্যক্তিকে চাল দিলেও বাকিদের নানা ত্রæটির অযুহাতে কার্ড জমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাল আত্মসাত করে আসছিলো। এমনি ১০ ব্যক্তি জানেনই না তাদের নামে কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। এছাড়া একই ব্যক্তির নাম ২ বার এবং মৃত ব্যক্তির নামেও চাল উত্তোলন করে আত্মসাত করে আসছিলো। অভিযোগে জানা গেছে, হুমায়ন কবির (কার্ড নং ২৫৩), ফরিদ (কার্ড নং ১৬১), গোফরান (কার্ড নং ২৪২), মন্নান (কার্ড নং ১৬৮), রোজিনা (কার্ড নং ২১৯), জোবেদা (কার্ড নং ২১২), শুক্কুর (কার্ড নং ২২৬), হারুন (কার্ড নং ২৫২), মাসুম (কার্ড নং ২৫৯) ও ফিরোজ আলম (কার্ড নং ২৩৪) এদের নামে কার্ড ইস্যু করে দীর্ঘদিন সুবিধা বঞ্চিতদের না জানিয়ে তা আত্মসাত করে ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান। এছাড়া মৃত ৩ ব্যক্তি মতলেব (কার্ড নং ২৪৯), হাবিব (কার্ড নং ১৫১) ও নরুল ইসলাম (কার্ড নং ১৫৪) এবং হান্নান নামের একই ব্যক্তির নামে ২টি কার্ড (কার্ড নং ২৫৩ ও ২৬০) ইস্যু করে তাদের নামের চাল দীর্ঘদিন আত্মসাত করে আসছে ঔ ইউপি সদস্য। ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, চালের মান খারাপ এমন অভিযোগ তুলে অনেকেই তার বাড়িতে কার্ড ফেরৎ দিয়ে গেছেন। যা এখন তাদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। তবে নিজের ও স্ত্রীরর নামে ইস্যুকৃত নামের কার্ডের বিষয়ে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহি অফিসার সোহাগ হাওলাদার জানান, অভিযোগ তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। চাল ও ত্রান নিয়ে দুর্নীতি হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/৩০ এপ্রিল ২০২০/ইকবাল