এক ডজন নাটকে চিত্রলেখা গুহ
ডিটেকটিভ বিনোদন ডেস্ক
দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী চিত্রলেখা গুহ। দেশের প্রায় প্রতিটি টিভি চ্যানেলে প্রতিদিনই এই অভিনেত্রীকে দেখা যায়। বিভিন্ন ধারাবাহিকে নানা রকম চরিত্রের মধ্য দিয়ে দর্শকের কাছে নিজেকে উপস্থাপন করছেন তিনি। ছোট পর্দার ধারাবাহিকের কাজ নিয়ে এই অভিনেত্রী বর্তমান ব্যস্ততা বলে জানান। প্রায় এক ডজন ধারাবাহিক রয়েছে এই গুণী অভিনেত্রীর হাতে। ধারাবাহিকগুলো হলো কচি খন্দকারের ‘সিনেমা হল’, সাজ্জাদ সুমনের ‘ছলে বলে কৌশলে’, রাসেলের ‘বিড়ম্বনা’, মেহেদি হাসান হৃদয়ের ‘রসের হাঁড়ি’, মির
সাব্বিরের ‘নোয়াশাল’, সৈমুল নজরুলের ‘মহল্লা বিবি.কম’, ইমরান হাওলাদারের ‘সালিশ মানি তাল গাছ আমার’, সোহাগ কাজীর ‘অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ’ এবং ফরিদুল হাসানের ‘বাউ-ুলে’ ও কমেডি-৪২০।
এছাড়া খুব শিগগির নতুন আরো দুটি ধারাবাহিকের কাজ শুরু করবেন তিনি। ধারাবাহিকের ব্যস্ততা সম্পর্কে চিত্রলেখা গুহ বলেন, আমাদের এখন অনেক ভালো ভালো গল্পের নাটক নির্মাণ হচ্ছে। ধারাবাহিকের গল্পতেও নির্মাতাগণ বৈচিত্র্য নিয়ে আসছেন। প্রচার চলতি প্রতিটি নাটকেই আমাকে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে দেখা যাচ্ছে। যদিও অনেক নাটকের গল্পই কমেডিনির্ভর। কিন্তু উপস্থাপনে নতুনত্ব রয়েছে। ধারাবাহিকের ব্যস্ততার কারণে একক নাটকে কাজ করা হচ্ছে না। তবে কিছু দিন পর আসছে ঈদের জন্য কয়েকটি একক নাটকে কাজ করার সম্ভাবনা আছে।
ছোট পর্দার পাশাপাশি বড় পর্দায়ও এই অভিনেত্রীকে দেখা গেছে। ১৯৯৪ সালে শেখ নিয়ামত আলীর ‘অন্য জীবন’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে তার রূপালী পর্দায় অভিষেক হয়। পরবর্তীকালে নাসির খানের ‘স্বপ্নের নায়ক’ তানভীর মোকাম্মেলের ‘লালন’ ও লালসালু এবং শাহ আলম কিরণের ‘৭১-এর মা জননী’সহ অনেকগুলো দর্শকপ্রিয় ছবি তিনি উপহার দিয়েছেন। এদিকে অচিরেই সরকারি অনুদানের ‘রুপসা নদীর বাকে’ শিরোনামের নতুন একটি ছবির কাজ শুরু করবেন তিনি। এটি পরিচালনা করছেন তানভীর মোকাম্মেল। এই ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি চিত্রলেখা গুহ কাস্টিং ডিরেক্টর ও কস্টিউম ডিজাইনের কাজ করছেন বলে জানান তিনি।