রংপুর ব্যুরোঃ
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এর কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারি উপজেলার তরুন উপ- সহকারি প্রকৌশলী জনাব মো: জুবাইদুল ইসলাম ডাক্তারের অবহেলায় মৃত্যুবরণ করেছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে।
করোনা সন্দেহে টেস্টের অযুহাতে গুরুত্বর অসুস্থ হওয়া স্বত্ত্বেও রংপুর মেডিকেল কলেজ এণ্ড হাসপাতালের বারান্দায় ফেলে রাখা হয় তাকে। পরে রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা গেল তার করোনা হয় নাই। অথচ করোনার দোহায় দিয়ে এত PPE থাকতে রোগীকে ধরা যাবে না, ছোয়া যাবে না, আই,সি,ইউ এ নেয়া যাবে না এ রকম অযুহাতে তার চিকিৎসা প্রদান থেকে বিরত থাকে দায়িত্বরত ডাক্তার। আইসিইউ থাকা স্বত্বেও তাকে আইনের দোহাই দিয়ে তাতে রাখতে অস্বীকৃতি জানান ডাক্তার। ডাক্তার কেবল মাত্র করোনা আক্রান্ত রোগি ছাড়া কাউকে আইসিইউ সাপোর্ট দেয়ার বিধান নাই আপাতত। এদিকে স্বামীকে বাঁচাতে জুবাইদুলের স্ত্রী অনেক ছুটাছুটি করে। ডাক্তারদের হাতে পায়ে ধরে। কোন ব্যবস্থা না পেয়ে নিরুপায় হয়ে উন্নত চিকিৎসার রংপুর থেকে ঢাকায় নেবার পথে বঙ্গবন্ধু সেতুর সন্নিকটে এ্যাম্বুলেন্সেই মৃত্যু বরণ করে প্রকৌশলী জুবাইদুল ইসলাম।
নির্বাক হয়ে তাকিয়ে আছে এক/দেড় বছরের ছোট্ট ফুটফুটে বাচ্চাটি। অসহায় স্ত্রী পাগলের মত ছোটাছুটি করে ও বাচাতে পারলো না প্রিয়তম স্বামীকে। পিতা মাতা হারাল তাদের একমাত্র ছেলেকে,এক মাত্র বোন হারালো তার ভাইকে দেশ হারালো একজন সম্ভবনাময় দক্ষ প্রকৌশলীকে। অথচ এই প্রকৌশলীরা, দিনে রাতে নিজের জীবন বাজি রেখে কাজ করবে, অসুস্থ হলে হাসপাতালে যাবে, বিনা চিকিৎসায় ছটফট করতে করতে মারা যাবে,তাদের বাচ্চারা এতিম হবে, কেউ কিছু করবে না, কারো কিছুই যায় আসবে না এমন ক্ষোভ প্রকাশ করেন তার নিকটজনরা।
উল্লেখ্য গত ০৮ এপ্রিল ২০২০খ্রিঃ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এর কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারি উপজেলার উপ সহকারি প্রকৌশলী জনাব মো: জুবাইদুল ইসলাম,রংপুর থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা আসার পথে বঙ্গবন্ধু সেতুর সন্নিকটে এম্বুলেন্সের ভিতর মৃত্যুবরণ করেন।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১০ এপ্রিল ২০২০/ইকবাল