‘নলিনী’র ছাড়পত্র বিশ্বভারতী থেকে
ডিটেকটিভ বিনোদন ডেস্ক
বিশ্বভারতী থেকে ছাড়পত্র পেল প্রিয়াংকা চোপড়ার ‘নলিনী’ চলচ্চিত্রটি। ‘নলিনী’-র চিত্রনাট্য খতিয়ে দেখে ছাড়পত্র দিয়েছে বিশ্বভারতী নিযুক্ত কমিটি। পরিচালক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়কে এই খবর জানিয়ে অস্থায়ী উপাচার্য স্বপন কুমার দত্ত আর্জি জানিয়েছেন, অনুমোদিত চিত্রনাট্য মেনেই যেন ছবিটি নির্মিত হয় এবং বাণিজ্যিক মুক্তির আগে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে একবার দেখিয়ে নিলে ভাল হয়। অভিযোগ উঠেছিল, এই ছবির চিত্রনাট্যে রবীন্দ্রনাথের একটি দীর্ঘ চুম্বন দৃশ্য রাখা হয়েছে, যাতে কবিগুরুর ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হতে পারে। বাংলা ও মরাঠা ভাষায় ‘নলিনী’ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করতে চায় প্রিয়ংকা চোপড়ার প্রযোজক সংস্থা। প্রিয়ংকা নিজে এই চলচ্চিত্রে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করতে চান।
কাহিনী অনুযায়ী, ইংল্যান্ড পাঠানোর প্রস্তুতি হিসেবে মরাঠা তরুণী অন্নপূর্ণা তর্কড়ের কাছে ইংরেজি শিখতে পাঠানো হয় ১৭ বছরের রবীন্দ্রনাথকে। বেশি দিন সেই টিউশন চলেনি, কিন্তু অন্নপূর্ণার প্রেমে পড়ে যান রবীন্দ্রনাথ। পরে সেই অন্নপূর্ণাই নলিনী হিসেবে আসেন রবীন্দ্রনাথের কবিতায়। বাকিটুকু কল্পনা। পরিচালকের কথায়, কপিরাইট উঠে যাওয়ার পরে বিশ্বভারতীকে দিয়ে চিত্রনাট্য অনুমোদন করানোর কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু ছবিটি সম্পর্কে নানা বিভ্রান্তিকর খবর পেয়ে রবীন্দ্রনাথের ভাবমূর্তি রক্ষার বিষয়টি নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ উদ্বিগ্ন ছিলেন। উজ্জ্বলের কথায়, রবি-জীবনের এই অন্নপূর্ণা পর্ব নিয়ে বিশ্বভারতীর কর্তাব্যক্তিরাও খুব একটা অবহিত ছিলেন না। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে যাতে কোনও বিতর্ক তৈরি না হয়, সে জন্য তারা চিত্রনাট্যটি খতিয়ে দেখতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেন। জুন মাসে শঙ্খ ঘোষ, সুপ্রিয় ঠাকুরের মতো ৮ জনকে নিয়ে একটি কমিটি গড়ে ‘নলিনী’-র চিত্রনাট্য পরীক্ষা শুরু করে বিশ্বভারতী। শনিবার অস্থায়ী উপাচার্য স্বপনকুমার দত্ত পরিচালক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়কে ই-মেইল করে জানান, কিছু তথ্যগত অসঙ্গতি ছাড়া তাদের কমিটি ‘নলিনী’-র চিত্রনাট্যটিকে অনুমোদন দিয়েছে।