ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করলো না দেশটির সুপ্রিম কোর্ট । কেন্দ্রীয় সরকারকে সংশোধিত এই আইন নিয়ে ৪ সপ্তাহের মধ্যে জবাব দেয়ার আদেশ দিয়েছেন ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট।২২ জানুয়ারি ২০২০ ইং তারিখ বুধবার বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে জমা হওয়া ১৪০টিরও বেশি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট এই আদেশ দেন। খবর এনডিটিভির।এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ১৪০টিরও বেশি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হওয়া মামলাটি ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে পাঠানো আদেশ দিয়েছেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত । নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত দেয়ার আগ পর্যন্ত সকল উচ্চ আদালতকে এ নিয়ে কোন রায় দেয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছেন ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে নাগরিকত্ব আইনের বিষয়ে স্থগিতাদেশ জারির আবেদন নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন বেশ কয়েকজন।২২ জানুয়ারি ২০২০ ইং তারিখ বুধবার সেই সব আবেদনেরশুনানি হয় ৩ বিচারপতির বেঞ্চে। কিন্তু ভারতের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বে গঠিত ওই বেঞ্চ জানিয়েছে, নাগরিকত্ব আইনে স্থগিতাদেশ জারি হবে কিনা সে বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেবে ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের ৩ বিচারপতির বেঞ্চ স্পষ্ট জানায়, কেন্দ্রীয় সরকারের এ বিষয়ে কী প্রতিক্রিয়া তা না জেনে কোনও স্থগিতাদেশ জারি করতে রাজি নন তারা।সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশ জোড়া বিক্ষোভের মধ্যেই এই আইনের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে ১৪৩ টি আবেদন জমা পড়ে। শীর্ষ আদালতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে করা আবেদনগুলিতে দাবি করা হয়েছে, যে সিএএ অবৈধ এবং সংবিধানের মূল কাঠামোর পরিপন্থী। আরও বলা হয়েছে যে এই আইনটি সাম্যের অধিকারেরও পরিপন্থী কারণ এটি ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রদান করার কথা বলে।নাগরিকত্ব আইন (সিএএন) সংশোধন করে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের হিন্দুসহ কয়েকটি ধর্মাবলম্বীদের ভারত তাদের দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।বিতর্কিত এই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দেশজুড়ে সরব হয়েছে একাধিক রাজনৈতিক দল। এছাড়া এই নিয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে চলছে দফায় দফায় বিক্ষোভ। এছাড়া জাতীয় নাগরিক তালিকারও বিরোধিতা করছে সাধারণ মানুষ।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২২ জানুয়ারি ২০২০/ইকবাল