লালমনিরহাটে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের ঘরেই আগুন
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
মামলায় হেরে যাওয়ার আশঙ্কায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় হামিদুল নামে এক ব্যক্তি নিজ ঘরে আগুন দিয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন। গত বৃহস্পতিবার এ অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের দক্ষিণ বালাপাড়া চৌধুরী মসজিদ এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হামিদুল, নুর হক ও বুলেট প্রায় ৩ মাস আগে সওদা কিনতে পার্শ্ববর্তী চাপারহাটে যান। কেনাকাটা শেষে একটি অটোবাইকে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় হামিদুল ও নুর হক আহত হন। এ দুর্ঘটনায় অস্ত্রোপচার করে হামিদুলের একটি পা কেটে ফেলতে হয়। এ সময় চিকিৎসার জন্য নুর হক তাকে স্বেচ্ছায় রক্ত দান করেন এবং নুর হকের পরিবারের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ নেন হামিদুল। ওই টাকা ফেরৎ দিতে অস্বীকার করায় নুর হকের মা কোহিনুর বেগম বাদী হয়ে মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে হামিদুলের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় তিনটি নোটিশ দেওয়ার পরও আসামিদের আদালতে হাজির করতে না পেরে বাদিনীকে উচ্চ আদালতে মামলার পরামর্শ দিয়ে ৩১ ডিসেম্বর প্রত্যয়নপত্র দেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী। বাদিনী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, মামলায় হেরে যাওয়ার আশঙ্কায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে নিজের গোয়াল ঘরের এক কোনায় আগুন লাগিয়ে দেন হামিদুলের পরিবার। এ ঘটনায় পরদিন বাদিনী ও তার পরিবারের ৪জনকে অভিযুক্ত করে আদিতমারী থানায় এক লাখ টাকা ক্ষতি সাধনের অভিযোগ দায়ের করেন হামিদুলের স্ত্রী মোহসেনা বেগম। ওই অভিযোগে বলা হয় আসামিরা দলবদ্ধ হয়ে তাদের ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তারা তাৎক্ষণিক আগুন নিভিয়ে ফেলেন। এতে কিছু ব্যবহারিত কাপড় ও ছেলে মেয়েদের বই পুড়ে যায়। মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী জানান, কেউ আগুন লাগাতে দেখেনি। তাছাড়া পেট্রোল ঢেলে আগুন দিলে পুরো বাড়ি পুড়ে যাওয়ার কথা সেখানে সামান্য দু’টি কাঠ পুড়ে গেছে। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এটা সাজানো ঘটনা হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আদিতমারী থানার ওসি হরেশ্বর রায় গতকাল শুক্রবার জানান, তুচ্ছ ঘটনায় নিছক অগ্নিকা- নাটক মনে হওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তা কোনো আইনগত ব্যবস্থা না নেয়ার সুপারিশ করেছেন। তাই আগুন দেয়ার অভিযোগে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি।