ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার রায়ে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে তাকে ‘ঘৃণ্য’ বলে উল্লেখ করেছে দেশটির সরকার। যে সিনিয়র বিচারকের নেতৃত্বে সাবেক এই সামরিক শাসককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং রায় লেখা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করবে তারা।রায়ে সিনিয়র বিচারক ওয়াকার আহমেদ শেঠের ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ আছে। তিনি লিখেছেন, মোশাররফকে যত দ্রুত সম্ভব আটক করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ব্যবস্থা করা উচিত। আর যদি তাকে জীবিত গ্রেফতার করা না যায়, তবে মরদেহ পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে ডি-চক এলাকায় টেনে আনা উচিত এবং সেখানে তিন দিন ঝুলিয়ে রাখা উচিত।উল্লেখ্য, মোশাররফ বর্তমানে দুবাইতে চিকিৎসাধীন আছেন। বিচার চলার সময় আদালত তাকে বার বার হাজির হবার সমন জারি করলেও তিনি আসেননি।পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া গতকাল প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। তাদের বৈঠকের পর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই বিচারকের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রক্রিয়ায় অভিযোগ করা হবে।দেশটির কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার মন্ত্রী ফারোগ নাসিম বলেছেন, ‘রায়ের এই পর্যবেক্ষণ অপ্রত্যাশিত এবং ঘৃণ্য। পাকিস্তানকে অন্ধকার যুগে নিয়ে যাবার চেষ্টা করা হয়েছে এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করে।মঙ্গলবার মোশাররফের বিরুদ্ধে রায় প্রকাশ করা হলেও বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হয় রায়ের ১৬৯ পাতার বিস্তারিত বিবরণ। রায়ের একটি অংশে মৃতদেহ ঝুলিয়ে রাখার আলোচিত ওই প্রতীকী আদেশটি আছে। মোশাররফ বলেছেন, অন্যায়ভাবে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেয়া হয়েছে। সূত্র: আল জাজিরাপ্রাইভেট ডিটেকটিভ/২১ ডিসেম্বর ২০১৯/ইকবাল