October 18, 2024, 10:53 am

সংবাদ শিরোনাম
ফুটওভার ব্রিজের উপর থেকে টার্গেট ছিনতাইকারীদের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইমরানের রাজউকে শক্তিশালী সিন্ডিকেট তথ্য সংগ্রহকালে সাংবাদিককে হুমকি বারুদের গন্ধ বিশ্ববাসী সহ্য করতে পারছেন না (পর্ব ১৩) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল( বিএনপি) ভুল পথে কেন (পর্ব- ১২) মাতৃভূমি সুরক্ষার জন্য আবারো রক্ত দিতে হবে কেন? পর্ব -১১ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে তিনজন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ নবাবগঞ্জে বজ্রপাতে দুই বিয়াইয়ের মৃত্যু শাহবাগে ছাত্র জমিয়তের সীরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত সুন্নাহর মাঝেই রয়েছে বৈষম্যমুক্ত আদর্শ দেশ গড়ার চাবিকাঠি কুড়িগ্রামে হত্যায় মামলায় সাংবাদিকদের আসামী! কক্সবাজারে অভিযানে ৬ দূর্বৃত্ত অস্ত্র সহ আটক

গ্রেনেড হামলা মামলার আপিল শুনানি ২-৪ মাসের মধ্যে: আইনমন্ত্রী

গ্রেনেড হামলা মামলার আপিল শুনানি ২-৪ মাসের মধ্যে: আইনমন্ত্রী

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

 

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মামলার আপিল শুনানি আগামি দুই থেকে চার মাসের মধ্যে হাইকোর্টে শুরু হবে। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড মামলার রায়ের পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) তৈরির কাজ চলছে। খুব তাড়াতাড়ি এটি ফাইনাল হয়ে যাবে। পেপারবুক তৈরিতে সময় লাগার কারণ সম্পর্কে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, এই মামলায় মোট ২২৫ জনের সাক্ষী নেওয়া হয়েছে। এজন্য পেপারবুকও অনেক বড় হবে। তাই একটু সময় লাগছে। পেপারবুক দ্রুত পেয়ে গেলে আমরা আশা করছি, এ বছরের মধ্যেই এই মামলার আপিল শুনানি শুরু হবে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের এক সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় দলের তৎকালীন মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন প্রাণ হারান। অল্পের জন্য বেঁচে যান বতর্মান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তবে গ্রেনেডের প্রচণ্ড শব্দে তার শ্রবণশক্তি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ হামলায় তিন শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। গ্রেনেড হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুটি মামলা করা হয়। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের অধীনে একটি এবং হত্যার জন্য আরেকটি মামলা। সব প্রক্রিয়া শেষে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর গ্রেনেড হামলার দুই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বাকি ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মামলার পলাতক আসামিদের সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, সাজাপ্রাপ্ত সব পলাতক আসামিকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। তবে কিছু জটিলতা রয়েছে। তবে এই রায় কার্যকর করার জন্য আসামিদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এই বিচারকাজ শেষ করার দায়িত্ব আমাদের। আমরা আইন অনুযায়ী বিচারকাজ শেষ করব। এ মামলায় পলাতক আসামি তারেক জিয়াকে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি আইনমন্ত্রী। অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনাতে কিছুটা জটিলতা ছিল আজও আছে, সেটা সমাধানের চেষ্টা করছি। আমরা আশা করি, এই রায় কার্যকর করার জন্য তাদের ফিরিয়ে আনা আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে। রায়ের ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও হাইকোর্ট বিভাগে শুনানি হচ্ছে না কেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা বেশি সময় নয়। আমরা বলতে পারি- আগামি ২ থেকে ৪ মাসের মধ্যে মামলাটির পেপারবুক তৈরি হয়ে যাবে, তখন শুনানি হবে। আর সেটা এ বছরের মধ্যেই। তিনি বলেন, আজকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দিন। এই দিনে আইভি রহমানসহ ২২ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী নিহত হন। সব মিলিয়ে মারা যান ২৪ জন। আমি তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। মামলার রায় পরবর্তী কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে আইনমন্ত্রী বলেন, বিচাররিক আদালত যদি কাউকে ফাঁসি দেন তাহলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭০ ধারা অনুযায়ী সেই মামলা ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্ট ডিভিশনে চলে যায়। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলার রায়ে কয়েকজন আসামির ফাঁসি হয়েছে, কারও কারও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। ফাঁসি হওয়ার কারণে তা ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে চলে গেছে। তিনি বলেন, যারা যাবৎজীবন কারাদণ্ড পেয়েছেন তারাও হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করছেন। হাইকোর্ট বিভাগের নিয়ম হচ্ছে, ডেথ রেফারেন্স ও যাবজ্জীবন সাজাটাকে একসঙ্গে ট্যাগ করে তারা শুনানি করেন। সেক্ষেত্রে কিছু ফরমালিটিজ আছে সেগুলো কম্পলিট করতে হয়। যেমন যাদের ফাঁসি হয়েছে তাদের পেপারবুক সরকারের তৈরি করে দিতে হয় বিজি প্রেসের মাধ্যমে। এই পেপারবুকের মধ্যে মামলার যাবতীয় কাগজপত্র থাকে। এটা তৈরি করে মামলাটি শুনানির জন্য প্রস্তুত হয় এবং তারপর শুনানি হয়। তিনি বলেন, আমি এটুকু বলতে পারি এই মামলার পেপারবুক তৈরি হওয়ার জন্য যে আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সেটা শুরু হয়ে গেছে। যেমন কাগজপত্র আসার পরে সেটা সর্টিং হয়, তারপর এটা বিজি প্রেসে চলে যায়। আমি এটুকু বলতে পারি একাজ শুরু হয়ে গেছে। আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রসিকিউশন থেকে দেখবো এই পেপারবুক তৈরির কাজটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব-এটা যেন হয়। এই মামলার ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৬১জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আরো ১৬৪ জনের সাক্ষী হয়। সর্বমোট ২২৫ জনের সাক্ষী হয়। ফলে এই মামলার পেপারবুক অনেক বড় হবে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত পেপারবুক তৈরি করে কার্যতালিকাভুক্ত করে মামলাটির শুনানি শুরু করবো, যোগ করেন তিনি।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর