ভারতে প্রতিরক্ষা প্রধানের নতুন পদ হচ্ছে, মোদীর ঘোষণা
ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যুক্তরাষ্ট্রের আদলে ‘চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ’ নামে একটি নতুন সামরিক পদ সৃষ্টির ঘোষণা দিয়েছেন, যিনি সেনা, নৌ ও বিমান- তিন বাহিনীরই প্রধান হিসেবে গণ্য হবেন।
বৃহস্পতিবার ভারতের ৭৩তম স্বাধীনতা দিবসের সকালে লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই ঘোষণা আসে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর।
মোদী তার বক্তৃতায় বলেন, ‘‘আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের গর্ব। প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিটি শাখার মধ্যে সমন্বয় আরও জোরদার করতে আমি আজ এই লাল কেল্লা থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত আপনাদের জানাতে চাই। ভারতে একজন সিডিএস বা চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ থাকবেন। তাতে আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী আরও কার্যকর হয়ে উঠবে।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফের দায়িত্ব হবে ভারতের তিন বোহিনীর মধ্যে সমন্বয় করা এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাহিনীগুলোর যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করা।
চার তারকা জেনারেল পদমর্যাদার একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফের দায়িত্ব পাবেন। সো, নৌ বা বিমান- যে কোনো বাহিনী থেকে একজনকে এই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। তিন বাহিনীর বাজেট নির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রেও তার ভূমিকা থাকবে।
আনন্দবাজার লিখেছে, এরকম একটি পদ সৃষ্টির জন্য দীর্ঘদিন ধরে সরকারকে পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন সেনা কর্মকর্তারা।
১৯৯৯ সালে কার্গিলে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের পরে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ঘাটতিগুলো চিহ্নিত করতে একটি উচ্চ-পর্যায়ের কমিটি করা হয়। সেই কমিটির প্রতিবেদনেও একজন ‘সিঙ্গল পয়েন্ট’ কর্মকর্তা নিয়োগের সুপারিশ করা হয়, যিনি সকল বাহিনীর প্রধান হিসেবে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সমন্বয় করবেন।
নরেন্দ্র মোদীর প্রথম মেয়াদের সরকারে দুই বছর প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা মনোহর পরিকরও ‘চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ’ পদ সৃষ্টির প্রস্তাবকে জোরালো সমর্থন দেন।
বর্তমানে ভারতের তিন বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত চিফ অফ স্টাফ কমিটি সমন্বয়ের কাজটি করে। ওই কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এয়ার চিফ মার্শাল বীরেন্দ্র সিং ধানোয়া। তবে চেয়ারম্যানের ক্ষমতা বা এখতিয়ার ‘চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ’ এর সমপর্যায়ের নয়।
নতুন ওই পদে কে আসবেন, সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি নরেন্দ্র মোদীর সরকার।