March 21, 2025, 6:55 am

সংবাদ শিরোনাম
কুড়িগ্রামে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ১৮ দিন বাড়িতে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ মৌলভীবাজার এসোসিয়েশন অব মিশিগানের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন জৈন্তাপুরে ২৫শে মার্চ গনহত্যা দিবস ও ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা শার্শার বৃদ্ধা হত্যা মামলার আসামী নারায়নগঞ্জ হতে আটক জামালপুরে তিস্তা নদী আমার অধিকার-সমস্যা ও প্রতিকার শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন বান্দরবানে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে গনধর্ষনে অভিযোগ ৪ জনকে গ্রেফতার সিলেটে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত সরকারের সহকারী এ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হলেন মোংলার কৃতি সন্তান মনিরুজ্জামান ৫ দফা দাবীতে মানববন্ধন করেছে নীলফামারীর মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষকরা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ফ্যাসিস্টের দোসর

ওসামা বিন লাদেনের ছেলে হামজা মারা গেছেন!

ওসামা বিন লাদেনের ছেলে হামজা মারা গেছেন!

ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

হামজা বিন লাদেনের খবর দেয়ার বিনিময়ে ১০ লাখ ডলার পুরষ্কার ঘোষণা করেছিলো যুক্তরাষ্ট্র সরকার। আল কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনের ছেলে হামজা মারা গেছেন। এ খবর জানিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। তবে বেনামী সূত্র থেকে উল্লেখ করা ওই খবরে, হামজা বিন লাদেনের মারা যাওয়ার জায়গা সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা কিংবা তার মৃত্যুর তারিখ সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। গত ফেব্রুয়ারিতে তার সম্পর্কে খোঁজ দেয়ার জন্য ১০ লাখ ডলার পুরষ্কার ঘোষণা করেছিলো যুক্তরাষ্ট্র সরকার। হামজা বিন লাদেন, যার আনুমানিক বয়স ৩০ বছর, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের উপর হামলার আহ্বান জানিয়েছে অডিও এবং ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছিলেন। তার মৃত্যুর খবর প্রথমে আসে এনবিসি এবং নিউ ইয়র্ক টাইমসে। গত বুধবার সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলেও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অসম্মতি জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টনও এ বিষয়ে কোন কথা বলেননি। ২০১১ সালে পাকিস্তানে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর হাতে নিজের বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে জিহাদিদের আহ্বান জানিয়েছিলেন হামজা বিন লাদেন। আরব উপত্যকার বাসিন্দাদের বিদ্রোহ ঘোষণা করারও আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। মার্চে তার নাগরিকত্ব বাতিল করে সৌদি আরব। ধারণা করা হয় যে, ইরানে গৃহবন্দী ছিলেন তিনি। কিন্তু অন্যান্য অনেক সূত্র মতে, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও সিরিয়াতেও তার বসবাসের খবর পাওয়া গেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের দাবি, ২০১১ সালে অ্যাবোটাবাদে তার বাবার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে যে নথি জব্দ করা হয়েছে সে অনুসারে আল কায়েদার নেতৃত্ব দেয়ার কথা ছিল তার। এছাড়া আরেক জ্যেষ্ঠ আল কায়েদা নেতার মেয়ের সাথে তার বিয়ের একটি ভিডিও পাওয়া যায়। বিয়েটি ইরানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। তার শ্বশুর ছিল আব্দুল্লাহ আহমেদ আব্দুল্লাহ বা আবু মুহাম্মদ আল মাসরি। ১৯৯৮ সালে তানজানিয়া এবং কেনিয়ায় মার্কিন দূতাবাসে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর হামলার পেছনে জড়িত ছিল আল কায়েদা সংগঠন। তবে গত দশকে আইএস মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে আল কায়েদার নামডাক কমে যায়। বিবিসি নিউজের ক্রিস বাকলার এক বিশ্লেষণে বলেন, হামজা বিন লাদেনের বয়স কত তা বলতে না পারাই প্রমাণ করে যে মার্কিন কর্মকর্তারা তার সম্পর্কে কত কম জানে। গত কয়েক মাস ধরে তারা এই ধারণা উপর ছিলো যে, সে হয়তো আফগানিস্তান, পাকিস্তান কিংবা ইরানে রয়েছে। কিন্তু তারা কখনোই নিশ্চিত করে বলতে পারেনি যে ঠিক কোন দেশে আমেরিকার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ব্যক্তিটি লুকিয়ে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে লাখো ডলারে পুরষ্কার ঘোষণা শুধু তার দ্বারা ভয়াবহ হুমকির মাত্রাকেই বোঝায় না, বরং আল কায়েদায় তার প্রতীকী গুরুত্বও তুলে ধরে। তার বাবা যখন ৯/১১ এর হামলার পরিকল্পনা করছিলেন তখন হামজা শিশু ছিল। তবে চরমপন্থী সংগঠনগুলোর তথ্য মতে, সেসময় বাবার পাশেই ছিল সে। যে ছেলেটি আমেরিকাকে ঘৃণা করতে শেখার মধ্য দিয়ে বড় হয়েছে, তার কাছে বিশেষ বাহিনীর হাতে বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়ার প্রবল ইচ্ছে থাকাটাই স্বাভাবিক। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, যুক্তরাষ্ট্র এবং এর মিত্র দেশগুলোর উপর হামলার আহ্বান জানিয়ে অনলাইন বার্তা দিয়ে আসছিলেন তিনি। হামজা বিন লাদেনের মৃত্যুর খবর সঠিক হলে, এটি আল কায়েদার নতুন কণ্ঠস্বরকে থামিয়ে দেবে। তবে এটি বিশ্বের সবচেয়ে কুখ্যাত সন্ত্রাসী হামলা পরিচালনাকারী সংগঠনটির হুমকি শেষ করতে পারবে না। সূত্র : বিবিসি বাংলা

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর