অবৈধ করাতকলে চলছে সুন্দরীসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ চেরাই ॥ হুমকির মুখে সুন্দরবনের বনজ সম্পদ
মোড়েলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
পূর্ব সুন্দরবনের মোড়েলগঞ্জ, শরণখোলা ও মংলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা করাতকলে চলছে সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ চেরাইয়ের কাজ। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্র-ছায়ায় থেকে সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় গড়ে ওঠা পাচারকারীদের একটি সিন্ডিকেট প্রতিনিয়ত ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সুন্দরবনের সুন্দরী, গড়ানসহ কর্তন নিষিদ্ধ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ পাচার করে চেরাই করছে এসব স-মিল গুলোতে। আর এ অবৈধ ভাবে সুন্দরবনের গাছ পাচার ও চেরাইয়ের ফলে হুমকীর মুখে পড়েছে সুন্দরবনের বনজ সম্পদ।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের হিসাব মতে সুন্দরবনের ১০কিলোমিটার পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার মধ্যে মোড়েলগঞ্জে ২২টি, শরণখোলায় ৪২টি, ও মংলা উপজেলায় ৯টি করাতকল রয়েছে। আর বেসরকারি হিসেব মতে এসংখ্যা আরো বেশী। বিভিন্ন সময় পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসন অভিযান চালিয়ে নামে মাত্র কয়েকটি করাতকল সিলগালাসহ মালামাল জব্দ করে তাদের দায় সারলেও রাজনৈতিক নেতা ও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পুরনায় চালু হচ্ছে সুন্দরবনের কোলঘেষে অবস্থিত এই করাতকল গুলো। তবে চলতি মাসের ১০ তারিখে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের পক্ষ থেকে এসকল অবৈধ করাতকল গুলোর একটি তালিকা তৈরি করে অবৈধ করাককল গুলোতে বিদ্যুৎ বিছিন্ন করার অনুরোধ জানিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
খোজ নিয়ে জানাগেছে, সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকা বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ, শরণখোলা ও মংলা উপজেলার বন সন্নিহিত ১০ কিলোমিটারের মধ্যে শতাধিক অবৈধ করাতকল বা স-মিল রয়েছে। এসব করাতকল বা স-মিলের মালিকদের অধিকাংশই স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় বনবিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন এসব অবৈধ করাতকলের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। এ কারণে সুন্দরবনের আকর্ষন কর্তন নিষিদ্ধ সুন্দরীসহ নানা প্রজাতির গাছ পাচার নির্মূল করা কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক স-মিল মালিক জানিয়েছেন, আমরা বিভিন্ন জায়গায় মাসোহারার মাধ্যমে ব্যবসা করি।
আপনাদের কারনে কিছুদিন তৎপরতা থাকলেও পরে আবার ঠিক হয়ে যায়।পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান বলেছেন, অবৈধ কোন স-মিল থাকতে পারবেনা, এ করাতকল বন্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।