রসিক নির্বাচনে লাঙ্গল ও নৌকার লড়াই কে হবেন মেয়র?
জেলা প্রতিনিধি
রংপুর সিটি কর্পোরেশনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩,৯৩,০০০ (তিন লক্ষ তেরানব্বই হাজার) সিটি কর্পোরেশনের মোট আয়তন ২০৫.৭৬ বর্গ কিলোমিটার। লোকসংখ্যা প্রায় ৭,৯৬,৫৫৬ জন। ওয়ার্ড সংখ্যা ৩৩টি। ৩৩টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ২১১ জন, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী ৬৭ জন এবং মেয়র পদে ৭ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
তবে মাঠ প্রচারণায় ৩-৪ জন মেয়র প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও অন্যান্যদের প্রচারণা তেমন চোখে পড়ছে না। মেয়র প্রার্থী নিয়ে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে নগরীর প্রতিটি পাড়া মহল্লায়। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গণসংযোগে ব্যস্ত রয়েছে প্রার্থীগণ। সেই সঙ্গে সমর্থকদের মিছিল আর মাইকিং-এ পুরো শহর এখন সরগরম। প্রার্থীগণ নির্বাচনী সভা-সমাবেশের পাশাপাশি ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের গুরুত্ব দিচ্ছে সমানভাবে। জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে হাজীর হাট, ডুগডুগির মোড়, চওড়া হাট, রবার্টসনগঞ্জ, সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় পৃথক পৃথক নির্বাচনী সভা-সমাবেশ করে। এছাড়াও তিনি প্রতিদিনই নগরীর বিভিন্ন স্থানে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছে।
মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, প্রত্যেক দল, মত নির্বিশেষে সকল মানুষের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে লাঙ্গল প্রতিকের বিজয় সুনিশ্চিত। বিপুল ভোটের ব্যবধানে জাতীয় পার্টির বিজয় ছিনিয়ে আনবে বলে তিনি আশাবাদী। অপর দিকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে মেয়র প্রার্থী সরফুদ্দিন আহম্মেদ ঝন্টু একই কায়দায় সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় প্রচারাভিযান ও গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছে। তিনি জানাল ৫ বছর ভালভাবে সিটি কর্পোরেশন চালিয়েছি ও সকল সেবা দিয়েছে নগরবাসীকে, পুনরায় সেবা করার সুযোগ পেলে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণ করবে। তার সময়ে ব্যাপক রাস্তা ও ড্রেনের কাজ হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
আগামীতে পুনরায় নির্বাচিত হলে তিনি রংপুর শহরের শ্যামা সুন্দরী ক্যানেলের উপরে ৬ কিলোমিটার ফ্লাইওভার নির্মাণ করবে বলে ভোটারদের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কোন কাঁচা রাস্তা রাখবে না বলে জানায়। অন্যান্য মেয়র প্রাথীদের মধ্যে বিএনপি’র ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে কাওছার জামান বাবলা, স্বতন্ত্র থেকে হাতি মার্কা এইচ.এম. আসিফ শাহরিয়ার, মই মার্কা নিয়ে বাম রাজনীতির বাসদ নেতা আব্দুল কুদ্দুস, হাত পাখা মার্কা নিয়ে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন থেকে গোলাম মোস্তফা, এনপিপি দলের আম মার্কা প্রতীক নিয়ে সেলিম আক্তার বিভিন্নভাবে জনসমর্থন আদায়ের জন্য গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছে।
সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় মাঠ জরিপ করে দেখা গেছে রসিক নির্বাচনে লাঙ্গলের প্রতি মানুষের আস্থা ও সমর্থন অনেক বেশী। ফলে লাঙ্গল ও নৌকার মধ্যে ভোটযুদ্ধে যে কেউ একজন মেয়র নির্বাচিত হবে।