আবারও হতে যাচ্ছে শিম্পাঞ্জি আর মানুষের লড়াই। কে জিতবে এ লড়াইয়ে? পৃথিবী কি শিম্পাঞ্জিদের হবে নাকি মানুষের? দেখার জন্য খুব বেশি অপেক্ষা করতে হবে না। আগামী শুক্রবার, ১৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রূপালি পর্দায় দেখা যাবে ভয়ঙ্কর এ লড়াই এবং তার পরিণতি। বলা হচ্ছে হলিউডের নতুন সিনেমা ‘ওয়ার ফর দ্য প্ল্যানেট অব দ্য এপস’র কথা।
ম্যাট রিভসের পরিচালনায় বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীভিত্তিক এ ছবি মুক্তি পেতে যাচ্ছে ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সেও। ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘রাইজ অব দ্য প্ল্যানেট অব দ্য এপস’ এবং ২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ডন অব দ্য প্ল্যানেট অব দ্য এপস’র সিকুয়্যাল এটি।
আগের ছবিগুলোর ধারাবাহিকতায় নির্মিত হয়েছে এ ছবি। অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে মানুষের বিরুদ্ধে সিজার ও তার বাহিনীর লড়াই নিয়েই এগিয়েছে ছবিটি। একদিকে প্রতিরোধ, অন্যদিকে আক্রমণের মধ্যে তৈরি হতে থাকে মানবিকতার গল্প। সিজারের রাগী চোখ, এপ বাহিনীর আক্রমণ এবং তাদের জয়ের সেইসব দৃশ্য ভুলে যাওয়ার কথা নয় আগের ছবির দর্শকদের। বক্সঅফিসে দারুণ সাড়া জাগানো এ ছবি দেখে নড়ে-চড়ে বসেছিলেন বোদ্ধা-সমালোচকরাও।
চিত্রনাট্য, নির্মাণ, অভিনয় কোনো বিভাগেই ছবিটিকে হারাতে পারেননি সমালোচকরা। বরং প্রশংসার ফুলঝুরি ছড়িয়েছেন। আগের কিস্তির বিশেষ কোনো অভিনেতা-অভিনেত্রী এই ছবিতে নেই। তবে রয়েছে এপ-দের বিদ্রোহের প্রধান পান্ডা সিজার চরিত্রটি। বরাবরের মতো এ ছবিতেও সিজার চরিত্রে অভিনয় করেছেন অ্যান্ডি সারকিস। মানুষ হয়ে তিনি কিভাবে শিম্পাঞ্জির রূপ ধারণ করলেন? প্রযুক্তির এ যুগে জবাবটা নতুন করে দেয়ার অপেক্ষা রাখে না।
শুধু সারকিস নয়, আরও অনেকেই প্রযুক্তির সাহায্যে শিম্পাঞ্জি হয়েছেন এ ছবিতে। এবারের লড়াই শুধু নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার নয়, এই গ্রহের জন্য লড়াই। ইতোমধ্যে যারা ছবির ট্রেইলার দেখেছেন তারা কিছুটা আঁচ করতে পেরেছেন এ লড়াইয়ের ভয়াবহতা। ধারণা করা হচ্ছে সাফল্যের লড়াইয়েও ছবিটি ভাঁজ ফেলে দিতে পারে অন্য ছবির নির্মাতাদের।