ভোলার চরফ্যাশনে আতংকের নাম কবির কুতুব
ডিটেক্টিভ ডেস্ক
কবির কুতুব ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নাগড় ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার। তার ভাই জাহাঙ্গীর কুতুব চরফ্যাশন পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ক্ষমতাকে ব্যবহার করে ইতিমধ্যেই তৈরি করেছেন তিন তলা বিশিষ্ট বিলাসবহুল ভবন এবং অবৈধ টাকার পাহাড়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নির্দিষ্ট কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নেই, করেন না কোন চাকুরি। জনমনে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, কিভাবে চলে তার সংসার, আর কিভাবেই বা তিন তলা বাড়ী? তিনি তো একজন ইউ পি সদস্য মাত্র!
বিগত দশ বছর আগেও তাদের অবস্থা ছিল সাধারন আরও দশজন লোকের মত। স্থানীয় মতে বোরাক ( ব্যাটারি চালিত গাড়ী) থেকে প্রতিদিন ত্রিশ টাকা করে চাঁদা তুলেন। নেই কোন রশিদ বা আনুসাঙ্গিক কাগজ। পৌরসভার ট্যাক্স এর বাইরে তিনি এই চাঁদা উত্তোলন করেন। এর বাইরেও প্রতি গাড়ী থেকে ৩০ টাকার বাইরেও অতিরিক্ত দিতে হয় দুইশত টাকা। যার কোন হিসেব নেই। লাইনে গাড়ী চালাতে হলে প্রতিটি বোরাক এর জন্য দশ হাজার টাকা এই কবির কুতুবকে দিতে হয়। তাছাড়া কেউ যখন গাড়ী আর চালাবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয় ও বিক্রি করতে চায় সেক্ষেত্রেও তাকে দুই হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়।
কেন দিচ্ছেন এই টাকা? জানতে চাইলে কেউ এই ব্যাপারে মুখ খুলতে চান না। তার কারন কবির কুতুব জানতে পারলে সে আর গাড়ী চালাতে পারবে না তাই এই সম্পর্কে কেউ কথা বলতে আগ্রহ প্রকাশ করে না। নাম না প্রকাশ করা শর্তে একজন বলেন, সারাদিন গাড়ী চালিয়ে পাই তিনশ থেকে চারশ টাকা। এর মধ্য থেকে প্রতিদিন পৌরসভার ট্যাক্স বিশ টাকা ও ত্রিশ টাকা লাইন চার্জ দেয়া লাগে। কারেন্ট এর বিল আছে, গাড়ীর জমা আছে সব বাদে দিন শেষে টাকা দিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হয় আবার মাস শেষে দুইশ টাকা কিন্তু কি করার,বাঁচতে তো হবে।আমাদের গরিবদের দেখার কেউ নাই।
জানা যায় কবির কুতুব চরফ্যাশন যুবলীগ ও শ্রমিকলীগের সাথে জড়িত। এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে শুরু করে সবকিছুতেই বেপরোয়া এই কবির কুতুব।প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে গড়ে তুলেছেন অবৈধ টাকার পাহাড়। এর আগেও দুইবার তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হলেও কি বা কারনে আবারও সেই ছায়ায় ফিরে আসছেন তা সকলের অজানাই থেকে যাচ্ছে যার ফলে ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে সরকারের তথা আওয়ামীলীগের।