July 8, 2024, 11:14 am

সংবাদ শিরোনাম
কুড়িগ্রামে একের পর এক বাঁধ ভেঙে ও সড়ক উপছে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত কোটা সমস্যার সমাধান করার দাবি জাতীয় শিক্ষাধারার জৈন্তাপুরে পুলিশের পৃথক অভিযানে চিনি ও ঔষধ উদ্ধার পীরগঞ্জের ঝোরারঘাট শাহ্ সালেক দাখিল মাদ্রাসায় সুপারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম পীরগঞ্জ ৮৭পিচ ইয়াবা ও অন্যঅন্য মামলায় আসামী আটক৫ ১৭০টি চোরাই মোবাইল ও ট্যাবসহ মোট ০৫ জন চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ সরকারী রাস্তাসহ ২৯টি মেহগনি গাছ কাটার অভিযোগ।। তদন্তে প্রশাসন পীরগঞ্জে মসজিদের দোহাই সরকারি খাস জমির গাছ কর্তন পীরগঞ্জে পাট ও পাট বীজ উৎপাদন প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত রংপুর মিঠাপুকুরে সেফটিক ট্যাংকে পড়ে তিনজনের মর্মান্তিক মৃত্যু

বেশি ঘামার কারণ

বেশি ঘামার কারণ

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে আসেন, আশপাশের সবাই স্বস্তিতেই আছেন, তবে আপনার লাগছে গরম লাগছে। পোশাকের ভেতরে চিটচিটে ঘাম অনুভব করছেন। এই চাপা ঘামের কারণে শরীর থেকে দুর্গন্ধ আসছে, ফলে সহকর্মীদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখছেন। কিন্তু কেনো এই ঘাম?

ঘাম যাদের বেশি হয়, তারা এরকম পরিস্থিতির সঙ্গে ভালোভাবেই পরিচিত। ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এদের জন্য অত্যন্ত কঠিন। আবার ঘাম বেশি মানে দুর্গন্ধও বেশি, ফলে অবস্থা আরও বেগতিক হতে থাকে।

চিকিৎসাবিজ্ঞান ও গবেষণার ফলাফল নিয়ে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের উপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে অন্যান্যের চাইতে ঘাম বেশি হওয়ার কারণ এখানে দেওয়া হল।

প্রচলিত ধারণা: শরীরে চর্বির মাত্রা বেশি হওয়াকেই অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার পেছনে দায়ী করা হয়। আর পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম করাকে ঘাম কম হওয়ার উপায় ধরা হয়। তবে আমেরিকান কলেজ অফ স্পোর্টস মেডিসিনের করা সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে ভিন্ন কথা।

তাদের মতে, ‘প্রচলিত ধারণাটি অনেকসময় মিলে গেলেও কতটুকু ঘাম হবে তার পেছনে আরও অনেকগুলো বিষয় জড়িত।’

চর্বি বেশি তো ওজন বেশি: প্রচলিত ধারণা হল, শরীরের চর্বি বেশি থাকলে ওজনও বেশি হবে, শরীরে ইনসুলিন সম্বন্ধীয় উপাদান বেশি থাকবে, ফলে ঘাম বেশি হতে পারে। আবার চর্বি বেশি থাকলে ‘বডি ম্যাস’ বা শরীরের ভরও বেশি। ঘাম বেশি হওয়ার পেছনে এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।

শারীরিক নড়াচড়া বেশি, তো ওজন কম: ‘অ্যারোবিক ফিটনেস’ বা ‘ভিওটু’য়ের মাত্রা বেশি হলে একজন ব্যক্তির শারীরিক গড়ন হবে ছিমছাম। তাই শরীরের কাঠামো ছোট হলে ঘাম কম হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

এই গবেষণায় অংশ নেয় বিভিন্ন শারীরিক গড়নের মোট ২৮ জন সেচ্ছাসেবক। প্রত্যেককেই বলা হয় ৬০ মিনিট সাইকেল চালাতে এবং পরিমাপ করা হয় তাদের শারীরিক পরিবর্তন ও ঘামের মাত্রা।

সাইকেলে প্যাডেল ঘুরানোর মাধ্যমে সেচ্ছাসেবকদের শারীরিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং এ ক্ষেত্রে শরীরের ইনসুলিনের কোনো প্রভাব ছিল না। তাপমাত্রার এই তারতম্য পরিমাপ করা হয় শরীরের প্রতি একক ভরের ভিত্তিতে। সাইকেল চালানোর কারণে উৎপন্ন হওয়া এই তাপ শরীরের কেন্দ্রীয় তাপমাত্রা বৃদ্ধির অর্ধেকের জন্য দায়ী।

শরীরের কেন্দ্রীয় তাপমাত্রার তারতম্যের মাত্র ২.৩ শতাংশকে প্রভাবিত করে চর্বির মাত্রা। আর অংশগ্রহণকারীদের ক্ষেত্রে এই হিসাবের তারতম্য ছিল ৬.৮ থেকে ৩২.৫ শতাংশ পর্যন্ত।

তার মানে, একই ওজনের দুজন ব্যক্তি একই হারে সাইকেলের প্যাডেল ঘোরালে তাদের শরীরের তাপমাত্রা বাড়বে একই মাত্রায়। এর উপর তাদের উচ্চতা এবং শরীরের আকারের কোনো প্রভাব থাকবে না।

তাহলে প্রচলিত ধারণা কি ভুল? না, তবে এর পেছনের যুক্তিটা ভুল। চর্বি বেশি এমন ব্যক্তি বেশি ঘামার কারণ বাড়তি চর্বির বাড়তি তাপ উৎপাদনকারী উপাদান নয়, বরং বাড়তি ওজন।

আবার শুধু শারীরিক নড়াচড়া ঘামের মাত্রার মাত্র চার শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। মূল বিষয়টা হল শরীর কতটা তাপ উৎপাদন করছে।

তাহলে আপনার যদি বেশি ঘাম হয়, হতে পারে কোনো কারণে শরীর বেশি তাপ উৎপন্ন করছে। যা শরীরের ওজন, বেশি খাওয়া, হরমোনের প্রভাব ইত্যাদি বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে।

ছবি: রয়টার্স।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর