ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের ছোটবাইশদিয়া গ্রামে গলায় ফাঁস দিয়ে রতনা বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার বিকেলে আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে রতনার বাবা মনির সিকদার বাদী হয়ে স্বামী রাসেল সরদার, শ্বাশুরী ভানু বিবি, ননদ জুলেখা বেগমসহ ৬ জনকে আসামি করে রাঙ্গাবালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ওইদিন স্বামী রাসেল সরদার ও ননদ জুলেখা বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, তিন বছর আগে ওই ইউনিয়নের ছোটবাইশদিয়া গ্রামের মৃত রফিক সরদারের ছেলে রাসেল সরদারের সঙ্গে চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের বিবির হাওলা গ্রামের মনির সিকদারের মেয়ে রতনার বিয়ে হয়। স্বামী রাসেল সরদার ঢাকায় দিনমজুরের কাজ করে। এ দম্পতির রাফি নামের দেড় বছরের একটি ছেলে রয়েছে।
রাফিকে তার মা রতনা চড়-থাপ্পর দিলে এনিয়ে শাশুরী ভানু বিরি সঙ্গে ঝগড়া হয়। এর সূত্র ধরে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বামী রাসেল সরদার বাড়ি এসে রতনার সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটি করে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়। মামলার অন্যান্য আসামিরাও এতে সায় দেয়। রাগে ক্ষোভে রতনা রশি গলায় পেচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে মুমূর্ষ অবস্থায় ওইদিন রাতে রতনাকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে, গতকাল শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য রতনার লাশ উদ্ধার করে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ওসি মিলন কৃষ্ণ মিত্র বলেন, আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে রতনার বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। ইতোমধ্যে স্বামী ও ননদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।