ফেনীতে সন্তানদের অবহেলায় মৃত্যুপথযাত্রী অশিতিপর বৃদ্ধ মা
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
ফেনীতে সন্তানদের অবহেলায় মৃত্যুপথযাত্রী অশিতিপর এক বৃদ্ধ মা। এক ছেলে বিসিএস ক্যাডার, দুই ছেলে চালের ব্যবসায়ী, উচ্চ শিক্ষাগ্রহণ করে মেয়েরা থাকছে স্বামীর বাড়ী। কেউ খবর রাখে না মায়ের। মুমুর্ষ অবস্থায় মা কে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে পুলিশ। ফেনী পৌরসভার মধুপুর এলাকার পোদ্দার বাড়িতে দীর্ঘ চার বছর ধরে একাকী থাকেন অশিতিপর বৃদ্ধা মা মৃদুলা রানী। ৫ সন্তানের এই জননীর এক ছেলে বিসিএস ক্যাডার (সুশান্ত সাহা, অতিরিক্ত উপ পরিচালক, কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর, কক্সবাজার)। বড় ছেলে বাপ্পি সাহা ও ছোট ছেলে বিপুল সাহা তাদের বাবা হরিপদ সাহার রেখে যাওয়ার চালের আড়তে ব্যবসা করেন। তারা সকলেই তাদের স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে থাকেন অনত্র। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা ছোট মেয়ে শর্ববী সাহা বিয়ের পর থেকে থাকছে চট্টগ্রামের শ্বশুড় বাড়ি। বড় মেয়ে সুমি সাহা অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে থাকেন ঢাকার শ্বশুরালয়ে। কিন্তু মায়ের স্থান হয়নি কারো কাছেই। স্বামীর রেখে যাওয়া ছোট একটি ঘরে অনাহারে অর্ধাহারে অযতœ আর অবহেলায় মৃতুপথযাত্রী মা মৃদুলা রানী। হতাশা আর বিষন্নতায় গত কয়েকদিন আগে ‘মাইন্ড স্ট্রোক’ করে বন্ধ ঘরে বিছানায় পড়ে ছিলেন মৃদুলা রানী। আশপাশের লোকজনরা ওই ঘর থেকে সাড়াশব্দ না পেয়ে মৃত মনে করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘরের দরজা ভেঙ্গে মুমুর্ষ অবস্থায় অশিতিপর বৃদ্ধা মৃদুলা রানীকে উদ্ধার করে। গুরুত্বর অসুস্থ মৃদুলা রানী গত মঙ্গলবার রাত থেকে ফেনী জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। হাসপাতাল থেকে তাকে সব রকম চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। মাইন্ড স্ট্রোক করায় ঠিকভাবে কথা বলতে পারছে না এই বৃদ্ধ মা। বৃদ্ধা মা’র চিকিৎসা সেবার দায়িত্বভার নিয়েছেন সিভিল সার্জন ও পুলিশ সুপার। তাদের নির্দেশে স্থানীয় একটি সামাজিক সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবক দেখভাল করছে উদ্ধারকৃত মৃদুলা রানীর।