ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইয়েমেন থেকে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদকে লক্ষ্য করে হুথি বিদ্রোহীদের ছোঁড়া মিসাইলের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে এরকম যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সৌদি আরবের পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছে তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদন থেকে একথা জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১২ দিনের এশিয়া সফরে রয়েছে। এর মাঝেই হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে নিন্দা জানানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘ইরানের রেভুলশনারি গার্ডের সমর্থনে সৌদি আরবে হুথি বিদ্রোহীদের মিসাইল হামলায় জাতিসংঘের শান্তি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।’ আগে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান মিসাইল হামলার বিষয়ে ইরানকে অভিযুক্ত করেছিলেন। তিনি একে আগ্রাসন উল্লেখ করে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ বলে অভিহিত করেন। এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী জাভেদ জারিফ এক টুইটবার্তায় বলেন, ‘সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনে বিমান হামলার মাধ্যমে হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করছে। কলেরা সহ অন্যান্য রোগ ছড়াচ্ছে। আর দোষ দিচ্ছে ইরানকে।’ ইরানের উপপররাষ্ট্র মন্ত্রী মাজিদ তাখত রাভাঞ্চি অভিযোগ করেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টিকে আরও ঘোলাটে করার চেষ্টা বরছে। তবে গত মাস ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলেও বিদেশি ফার্মগুলো বিনিয়োগ করেছে। পরমাণু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও জার্মানি শান্তিপূর্ণ পরমাণু প্রকল্প পরীক্ষার শর্তে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে শুরু করে। প্যারিসে এক সম্মেলনে তাখত রাভাঞ্চি বলেন, ‘ইরান এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাবে না। তবে যেকোনও পরিস্থিতির জন্য তারা প্রস্তুত।’