বৃক্কের ক্ষতি জরায়ু অপসারণ থেকে
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
রজোবন্ধ হয়নি এবং বংশগতভাবে স্তন কিংবা জরায়ুর ক্যান্সারের ঝুঁকি নেই এমন নারীদের জরায়ু অপসারণ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
কারণ যুক্তরাষ্ট্রের মায়ো ক্লিনিকের করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, জরায়ু অপসারণের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী বৃক্কের রোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
জরায়ুতে তৈরি হয় নারীর প্রজনন ক্ষমতা সৃষ্টিকারী হরমোন ‘ইস্ট্রোজেন’ এবং পূর্ববর্তী গবেষণায় দেখা গেছে ‘ইস্ট্রোজেন’ বৃক্ককে প্রভাবিত করে।
যুক্তরাষ্ট্রের মায়ো ক্লিনিকের করা এই গবেষণায় বলা হয়, যারা জরায়ু অপসারণ করেছেন তাদের বৃক্কজনীত রোগ হওয়ার আশঙ্কা যারা অপসারণ করেননি তাদের তুলনায় ৬.৬ শতাংশ বেশি।
৪৬ বছর বয়সের নিচে থাকা নারীদের ঝুঁকি আরও বেশি। যারা ৪৬ বছর বয়সের আগেই জরায়ু অপসারণ করেছেন তাদের বৃক্কে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা ৭.৫ শতাংশ।
মায়ো ক্লিনিকের নিউরোলজিস্ট ও এপিডেমিওলজিস্ট ওয়াল্টার রোকা বলেন, “যেসব নারীর স্তন ক্যান্সার কিংবা জরায়ু ক্যান্সারের বংশগত ঝুঁকি নেই তাদেরকে আমরা জরায়ু অপসারণ না করতে উৎসাহিত করছি। কারণ তাদের জন্য এটি কিডনি রোগ এবং অন্যান্য মরণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।”
একজন মানুষের বৃক্ক মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেলে তার জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা ডায়ালাইসিস এবং বৃক্ক পরিবর্তনের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
‘ক্লিনিকাল জার্নাল অফ দ্য আমেরিকান সোসাইটি অফ নেফ্রোলজি’তে প্রকাশিত এই গবেষণার নথিতে রোকা বলেন, “যারা জরায়ু অপসারণের কথা ভাবছেন, চিকিৎসকদের উচিত তাদেরকে ভবিষ্যত বৃক্ক জটিলতা সম্পর্কে অবগত করা। এটাই প্রথম গবেষণা, যা নারীদের ‘ইস্ট্রোজেন’য়ের অভাব আর বৃক্ক নষ্ট হওয়ার মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তুলে ধরেছে।”
এই গবেষণায় রজোবন্ধ হয়নি এমন ১ হাজার ৬শ’ ৫৩ জন নারী, যারা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৫০ বছর বয়সের আগেই তাদের জরায়ু অপসারণ করেছেন এবং একই সংখ্যক ও একই বয়সের নারী, যারা জরায়ু অপসারণ করেননি তাদের মধ্যে তুলনামূলক নিরীক্ষা চালান গবেষকরা।