October 7, 2024, 12:19 am

সংবাদ শিরোনাম
স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি ভোলা বোরহানউদ্দিনে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকগণের ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের লক্ষে বগুড়ায় বিএনপির মতবিনিময় সভা! লক্ষ্মীপুরে কুমিরের আতঙ্কে এলাকাবাসী সাংবাদিক পুত্র আবির হোসেন অনন্ত’র জন্মদিন আজ বিল্লাল হুসাইন

কী খাচ্ছেন এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কখন খাচ্ছেন

কী খাচ্ছেন এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কখন খাচ্ছেন

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

বেশিরভাগ মানুষই নিজের স্বাস্থ্য এবং খাওয়া-দাওয়া নিয়ে ভাবেন। অনেকেই বেশি বেশি পুষ্টিগুন সম্পন্ন খাবার গ্রহণের প্রতি মনোযোগ দেন। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হচ্ছে, কী খাওয়া উচিত আর কতটা খাওয়া উচিত তার থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণÑকখন খাওয়া হচ্ছে। আমেরিকার টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ডালাসে সাল্ক ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সচিন পা-া মানুষের দেহঘড়ির সঙ্গে খাওয়ার সম্পর্ক নিয়ে দশ বছর চালানো গবেষণার ওপর একটি বই লিখেছেন। নতুন এই গবেষণায়, মানুষের ২৪ ঘন্টা দেহঘড়ির সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসের কী সম্পর্ক তা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। তারা বলছে, ঘুম থেকে জেগে ওঠার প্রথমবার খাবার খাওয়ার ৮ থেকে ১০ ঘন্টা পর দ্বিতীয়বার খাবার খাওয়া উচিত, যাতে শরীর খাবার হজম করার জন্য যথেষ্ট সময় পায়।

নতুন গবেষণা বলছে, স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের মানে শুধু ব্যায়াম করা নয়, বা কী খাচ্ছেন, কতটা পরিমাণে খাচ্ছেন সেদিকে নজর রাখা নয়, বরং কখন খাচ্ছেন সেদিকে নজর রাখা জরুরি। ড. পা-া বলেছেন মানুষের দেহের যে নিজস্ব একটা ঘড়ি আছে তার ছন্দের সঙ্গে মিলিয়ে যখন মানুষ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলে তখন মানুষের শরীর সবচেয়ে ভালভাবে কাজ করে। তিনি বলেন, শরীরের ভেতর যে ২৪ ঘন্টার ঘড়ি আছে, সে ঘড়ি একেকজনের জন্য একেকরকম। শরীরের প্রতিটি কোষ এই ঘড়ির ছন্দ অনুযায়ী কাজ করে। যার অর্থ হল প্রতিটি হরমোন, মস্তিষ্কের প্রতিটি কোষের প্রতিটি রাসায়নিক, প্রতিটি এনজাইম নি:সারিত হয় এই ঘড়ি ধরে, এমনকি এই ঘড়ি ধরেই শরীরের প্রতিটি জিন কাজ করে যায়।

তিনি বলেন, গবেষণায় আমরা দেখেছি এই ঘড়ির নিয়ম মেনে শরীর খাদ্য হজম করতে এবং তার থেকে পুষ্টি আহরণ করতে পারে মাত্র আট থেকে দশ ঘন্টা পর্যন্ত – বড়জোর ১২ ঘন্টা পর্যন্ত। এই সময়ের বাইরে আমাদের দেহঘড়ি অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে – যেমন শরীরের কোন কোষ মেরামত করা বা কোষ পুনরুজ্জীবিতকরণ ইত্যাদি। সবকিছুর জন্যই আদর্শ সময় আছে- ঘুমের জন্য যেমন, খাওয়ার জন্যও তেমনি।

ড. পা-া এবং তার সহকর্মীরা ২০১২ সালে একই ধরনের দ্ইু দল ইঁদুরের ওপর তাদের গবেষণা পরিচালনা করেন। প্রথম দলটিকে তারা খেতে দেন বেশি চর্বিওয়ালা এবং বেশি চিনিযুক্ত খাবার এবং এমনভাবে তাদের খেতে দেওয়া হয় যাতে দিনের যে কোন সময় তারা খেতে পারে। দ্বিতীয় দলটিকেও একই ধরনের খাবার দেয়া হয় তবে তা নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে আট ঘন্টা পরপর। ১৮ সপ্তাহ পর দেখা যায় প্রথম দলের ইঁদুরগুলো ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং তাদের ওজন বেড়ে গেছে, সেইসঙ্গে তাদের কোলেস্টরলের মাত্রা বেড়ে গেছে এবং অন্ত্রের রোগ দেখা দিয়েছে। অন্য দলের যে ইঁদুরগুলো নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে খাবার খেয়েছে সেগুলো কোন রোগে আক্রান্ত হয়নি।

তিনি বলেন, নির্দিষ্ট সময় বিরতি দিয়ে খাবার খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। ৮ থেকে ১০, বড়জোর ১২ ঘন্টার মধ্যে খাওয়ার উপকারিতা সবচেয়ে বেশি। এই সময়ের বাইরে স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেও তা শরীরের জন্য অপ্রয়োজনীয় হয়ে উঠতে পারে।

অন্য এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নারীরা প্রতি রাতে একটানা ১৩ ঘন্টা না খেয়ে থাকছেন, তাদের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি খুবই কম। তিনি বলেন, ঘুম থেকে ওঠার পর প্রথমবার খাওয়ার আগে একঘন্টা অপেক্ষা করুন। এরপর ৮ থেকে ১০ ঘন্টা হাতে রাখুন খাওয়ার জন্য। আবার যখন কাজের সময় নিয়মিত হবে তখন পুরোন নিয়মে ফিরে যান। রাতের বেলা ঘুম থেকে উঠে এটা-সেটা খাওয়া বা ছুটির দিনে খাওয়ার নিয়ম ভেঙে সারাদিন ধরে টুকটাক খাওয়া শরীরের জন্য ভাল নয়। এই ধরনের অনিয়ম মানুষের হজমের প্রক্রিয়া ব্যহত করে।-বিবিসি

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর