কৃত্রিম পানীয় নয় ইফতারিতে
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
সারাদিন রোজা রাখা বা অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকার পর কোমল পানীয় জিহ্বায় আনন্দের বন্যা এনে দিলেও শরীরে জন্য মোটেই সুখকর নয়।
খালি পেটে কৃত্রিম ফলের রস কিংবা কোমল পানীয় কিডনির বারোটা বাজানোর জন্য যথেষ্ট। চা ও কফি শরীর পানিশূন্য করে ফেলতে পারে।
ইফতারিতে প্রচুর পানি ও ফলের রস খাওয়ার পরামর্শ দেন বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের ‘খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান’ বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ফারাহ মাসুদা।
রোজা রেখে শরীরে পানির ঘাটতি কমাতে কী করণীয় জানতে চাইলে, তিনি বলেন, “ইফতারিতে পানিজাতীয় খাবার যেমন ফলের রস, শরবত, সুপ ইত্যাদি খাওয়া উচিত। এতে সারাদিনের পানির ঘাটতি কমে আসে।”
তিনি আরও বলেন, “একবারে বেশি পানি পান করা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। ইফতারের পর থেকে খানিকক্ষণ পর পর অল্প অল্প করে পানি পান করা উচিত।”
ইফতারিতে অনেকে কেনা ফলের জুস বা কোমল পানীয় এমনকি চা বা কফি খেয়ে থাকেন। যা কোনোভাবেই উচিত নয়। অতিরিক্ত চা ও কফি শরীরে পানি শূন্যতা তৈরি করে। ফলে শারীরিক দুর্বলতা ও পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব কিডনি ডিজিস অ্যান্ড ইউরোলজি (নিকডু)’র শিশু ও কিডনি বিশেষজ্ঞ ডা. এএনএম সাইফুল হাসান ইফতারিতে কোমল পানীয় ও কৃত্রিম জুসের ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে জানান।
তিনি বলেন, “কোমল পানীয়তে প্রচুর সোডিয়াম থাকে। সারাদিন রোজা রাখার পরে এসব পান করলে রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে শরীর খারাপ হয়।”
কৃত্রিম ও কোমল পানীয়ের পরিবর্তে তাজা ফলের রস এবং রসালো ফল খাওয়া যেতে পারে। এতে শরীর প্রয়োজনীয় ভিটামিন পাবে। পানির ঘাটতি পূরণ হবে। আর শরীরও সুস্থ থাকবে বলে জানান তিনি।
রক্তে হঠাৎ সোডিয়াম বা লবণের পরিমাণ বেড়ে গেলে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, শরীর গোলানো, গ্যাস সৃষ্টি এমনকি মাঝে মধ্যে পেটের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
অল্প পরিমাণে এসব কৃত্রিম পানীয় খেলে কিডনির সমস্যা দেখা না দিলেও এই ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে তোলে। তাই ইফতারে এসব পানীয় এড়িয়ে চলা ভালো বলেই জানান এই চিকিৎসক।