January 3, 2025, 12:41 am

সংবাদ শিরোনাম
কুড়িগ্রামে সূর্যের দেখা নেই দুদিন, বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা লামায় তিনদিন পর নিখোঁজ স্কুলশিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার চিলমারীতে কৃষক দলের সমাবেশ অনুষ্ঠিত বামনায় নতুন বছরে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ জ্ঞানভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্র গঠনে বিএনপি’র ৩১ দফার বিকল্প নেই -ব্যারিস্টার জামান গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে শীতের প্রকোপে বিপর্যস্ত নিম্নআয়ের মানুষ শিবচরে বিআরবি ক্যাবল বিক্রয় কেন্দ্রে দুর্ধর্ষ ডাকাতি ; প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার মালামাল লুট বনার্ঢ্য আয়োজনে নীলফামারীতে ছাত্রদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী বোরহানউদ্দিনে ছাত্রদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠিত নতুন বছরে নতুন সূর্য অবলোকনে কুয়াকাটায় ভীড় করছে পর্যটকরা

অদম্য ইচ্ছাশক্তি দিয়ে শারিরীক প্রতিবন্ধীকতাকে জয় করেছে বেলাল

আরিফ সুমন, কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ

পা দিয়ে লিখে দিচ্ছেন দাখিল পরীক্ষা

অদম্য ইচ্ছাশক্তি দিয়ে শাররীক প্রতিবন্ধীতাকে জয় করেছে বেলাল। দু’ হাত নেই বলে থেমে থাকেনি শিক্ষিত হয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার ইচ্ছা। উপজেলার উমেদপুর দাখিল মাদ্রসার মানবিক বিভাগের ছাত্র বেলাল অংশ নিয়েছেন এবারের এসএসসি পরীক্ষায়। কলাপাড়ায় নেছার উদ্দিন ফাজিল মাদ্রাসায় কেন্দ্রে পা দিয়ে লিখছেন পরীক্ষার উত্তরপত্র।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নীলগজ্ঞ ইউনিয়নের উমেদপুর গ্রামের দিনমজুর খলিল আকনের দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সবার ছোট বেলাল হোসেন। জন্ম গতভাবেই তার দু’টি হাত নেই। পা দুটোও স্বাভাবিক নয়। বেলালের মা হোসনে আরা জানান, শাররীক প্রতিবন্ধীতা নিয়ে জন্মের ফলে নানান কুসংস্কারের কারনে শিশু বয়সে বেলালকে ঘরের মধ্যে লুকিয়ে রাখতেন। গ্রামবাসীদের তাচ্ছিল্যের কারনে ছেলেকে লেখাপড়া শিখিয়ে আন্তনির্ভলশীল করে গড়ে তোলার শপথ নেন। ঘরে বসে বেলালকে পড়াতে শুরু করেন।

প্রথমে পড়তে পারলেও লিখতে পাড়তনা। পায়ের আঙ্গুলের মধ্যে চক ধরিয়ে লিখতে সহায়তা করেন। আর এভাবেই মায়ের একান্ত প্রচেস্টায় বেলাল আয়ত্ব করে ফেলে পা দিয়ে লেখার অভ্যাস। ভর্তি করা হয় উমেদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। মায়ের সহায়তায় প্রতিদিন এক কিলোমিটার দুরের বিদ্যালয় নিয়মিত উপস্থিত হয়ে পা দিয়ে লিখেই পিএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় এ প্লাস পেয়েছে।

খলিলুর রহমান আকন বলেন, আমার দু’ মেয়ে এবং দু’ছেলের মধ্যে মেয়ে দুজনকে বিয়ে দিয়েছি। বড় ছেলে বিএম কলেজে অনার্সে পড়ে। সংসারের অভাব অনটনের কারনে বেলালের জন্মের পর ভালোভাবে চিকিৎসা করতে পারিনি।
উমেদপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার হাবিবুর রহমান বেল্লালী জানান, বেলাল নিয়মিত মাদ্রাসা আসতো। শিক্ষকরা তার শিখনে সাধ্যমত চেষ্টা করছে।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর