January 12, 2025, 7:10 pm

সংবাদ শিরোনাম

ভরা মৌসুমে বৃষ্টি না-হওয়া দুশ্চিন্তায় রাঙ্গাবালীর আমন চাষিরা

রফিকুল ইসলাম, রাঙ্গাবালী পটুয়াখালী ঃ

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে আশানুরূপ বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আমন ধান আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন উপজেলার কৃষকরা। ভরা মৌসুমেও পানি না থাকায় কৃষকরা আমন ধানের বীজ রোপণ করতে পারচ্ছেন না, সেচ-এর মাধ্যমে বীজতলা করলেও পানির অভাবে তা মরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ১৬ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আকাশের দিকে চেয়ে বৃষ্টির অপেক্ষায় থেকে অনেক কৃষক আমনের বীজতলা তৈরি করে রেখেছেন। তবে শ্রাবণে এসে আবারো বৃষ্টি না-হওয়া হতাশায় ভুগছেন তারা। সময়মতো বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে হতাশা দেখা দিয়েছে। অনেক এলাকায় পড়ে আছে রোপণ উপযুক্ত চারা।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের কৃষকরা জানান, আষাঢ়, শ্রাবণ মাসে বৃষ্টির পানির উপর নির্ভর করে আমন চাষ করা হয়ে থাকে। এ কারণে আমন আবাদে খরচ কম হয়। কিন্তু এ বছর বর্ষাকালে বৃষ্টির দেখা না পেয়ে তারা হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন আর পানির জন্য হাহাকার করছেন। বৃষ্টির অভাবে তারা এখনো আমনের চারা রোপণ করতে পারেননি। তারা বলেন যদি আগামী দুথএক দিনেও বৃষ্টি না হয় তাহলে বড় ধারনের লোকসান গুনতে হবে এ-অঞ্চলের কৃষক দের।

উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের মোল্লাগ্রামের চাষি মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, এ বছর বৃষ্টির পানির অভাবে ক্ষেতে চাষ দিতে পারছেন না। আমন ধানের চাষ পুরোটাই নির্ভর করে বৃষ্টির পানির উপর। আগের বছর গুলোতে কিছুটা বৃষ্টি হওয়ার পর মধ্যো আষাঢ় থেকে বীজতলা প্রস্তুতের কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু এবার শ্রাবণেও বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে ।
উপজেলার বড়বাইসদীয়া চাষি মোঃ নিজাম হাওলাদার বলেন, আমাদের ইউনিয়নের বেশির ভাগ জমি এক ফসলি। আমন মৌসুমে আমন ধান চাষ করে কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হন। কিন্তু এ বছর আমন মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকদের ধান চাষে অনেক বিলম্ব হচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে যে পরিমান লবণ কাটে, তা সেচের পানিতে কাটে না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাফর আহাম্মেদ বলেন, প্রয়োজনীয় বৃষ্টির অভাবে সারা দেশে আমন আবাদে এ অবস্থা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে আমরা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছি। তবে আমন মৌসুমের ধান রোপণের সময় খুব বেশি পিছিয়ে যায়নি। আগস্ট মাসের শেষ পর্যন্ত রোপণ করা যাবে। এ বৃষ্টিতেই পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়ে যাবে বলে তিনি আশা করেন। তিনি আরো বলেন, আমন আবাদ নিয়ে কৃষকের পাশাপাশি কৃষি অফিসও চিন্তায় রয়েছে। তবে বৃষ্টি হলেই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

 

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর