-
- জেলা সংবাদ, দুর্ভোগ, সারাদেশে
- মোংলায় গভীর রাতেও লোডশেডিং, দেখা দিয়েছে চুরি-ডাকাতির ভয়
- আপডেট সময় July, 27, 2022, 12:10 pm
- 165 বার পড়া হয়েছে
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ
গভীর রাতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মোংলা পৌরবাসী। সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটে হঠাৎ চলে যায় বিদ্যুৎ। এরপর টানা এক ঘন্টা পর বিদ্যুৎ আসে। এর আগে দিনেও কয়েকবার লোডশেডিং দেয়া হয়। দিনে ও রাতে ঘোষণা বহিঃভূতভাবে লোডশেডিংয়ে চরম ভোগান্তীতে বন্দর ও পৌর শহরের বাসিন্দারা। তবে গভীর রাতে লোডশেডিংয়ের ফলে দোকানপাট ও বাড়ীঘরে চুরি-ডাকাতির ভয়ে রয়েছেন স্থানীয়রা। এছাড়া অন্ধকারে চলাচলেও ছিনতাইয়ের ঝুঁকি বাড়ছে। গভীর রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় শহরের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের ভোগান্তী ও নাইট গার্ডদের মধ্যে চুরি-ছিনতাইয়ের আতংক এবং ভীতি দেখা দিয়েছে।
পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মী মোহর আলী বলেন, রাত ১২টার পর শহরের ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করতে নামি। নামতে লোডশেডিং এখন ময়লা তো সব পরিস্কার হবেনা, কারণ অন্ধকারে দেখা যায়না কিছু। আমাদের কষ্ট আরো বেশি হচ্ছে। পৌর শহরের শেখ আঃ হাই সড়কের দোকানী রুহুল আমিন ও মজিবর গাজী বলেন, রাত ১২টার পর বিদ্যুৎ চলে গেছে। কখন আসে জানিনা, এতে তো দোকানপাটের তালা ভেঙ্গে চুরি হওয়ার ভয় আছে। পৌর শহরের নাইট গার্ড মোঃ বেলায়েত হোসেন বলেন, রাতেও লোডশেডিং, সকল দোকানপাট বন্ধ। অন্ধকারে কয়টি দোকান পাহারা দিবো। কোন জায়গা থেকে চোরে আবার তালা ভেঙ্গে মালামাল নিয়ে যায় সেই আতংকে আছি এখন। একা কয়টা দোকান পাহারা দেয়া যায়। গভীর রাতে বিদ্যুৎ যাওয়ায় গরমে ভোগান্তী বাড়ছে বাসিন্দাদের। গরমে কেউ কেউকে দেখা গেছে বাহিরে বসে আছেন, আবার কেউ কেউ রাস্তায় হাটাহাটি করছেন। সকাল, দুপুর, বিকেল ও সন্ধ্যার লোডশেডিং এখন গভীর রাতও ছাড়িয়ে গেছে। শহরের বান্ধাঘাটার এলাকার মোঃ রাসেল ও কলেজ মোড়ের আঃ হালিম বলেন, সারাদিন কাজ কর্ম করে বাড়ীতে এসে খেয়ে শুতে গেলেই বিদ্যুৎ গেলো। গরমে ঘরে থাকা যায় না, তাই বাহিরে হাটছি। আর ঘরের অন্যান্যরা ঘুম থেকে উঠে বসে আছে। দিনেও লোডশেডিং আবার গভীর রাতেও তাই। আমরা বিপদেই আছি। এদিকে অন্ধকারে যান চলাচলও চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শহরতলীর মাকড়ঢোন গ্রামের অটো ভ্যান গাড়ী চালক কালাম হোসেন বলেন, এতো রাত এখন দিয়েছে লোডশেডিং, রাস্তাঘাট অন্ধকার কিভাবে গাড়ী চালাবো। গাড়ীর আলোতে তো আর কিছু দেখাই যায়না। সবদিক দিয়ে ভীষণ সমস্যা হচ্ছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে মোংলায় ৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎতের চাহিদা থাকলেও সরবরাহ রয়েছে ৩০ মেগাওয়াট। আর ঘাটতি থাকছে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। তাই ঘোষণা ছাড়াই কৌশলগত ভাবে দিনে-রাতে লোডশেডিংও ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে।
এ জাতীয় আরো খবর