দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বাড়ায় পাইকারি পর্যায়ে দাম কমেছে কেজিতে তিন থেকে পাঁচ টাকা। একদিন আগেও বন্দরে ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ২১ থেকে ২২ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছিল। তা কমে ১৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়।
এদিকে স্থলবন্দরের পাইকারী বাজারে আবারও বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা কেজি প্রতি বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। সরবরাহ কমার কারণে দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
ভারতীয় নাসিক জাতের পেঁয়াজ ২৬ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ২২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। দাম কমায় খুশি নিম্ন আয়ের মানুষসহ বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকাররা।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক বাবলুর রহমান বলেন, ‘সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ও ভারতের বাজারে দাম কম হওয়ায় আমদানিকারকরা পর্যাপ্ত পরিমাণ পেঁয়াজের জন্য এলসি খুলেছেন। ভারতে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ লোডিং হয়েছে আমাদের। দেশের সবগুলো বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ দেশে ঢুকছে। কিন্তু সেই তুলনায় দেশের মোকামগুলোতে পেঁয়াজের চাহিদা তেমন নেই। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বাড়ায় কমেছে দাম।’
এছাড়া ভারতের অভ্যন্তরে যে পরিমাণ পেঁয়াজ লোডিং অবস্থায় রয়েছে,সেগুলো এলে দাম আরও কমে যাবে। একইসঙ্গে দেশি পেঁয়াজের দাম মোকামে মণপ্রতি ৪০০-৫০০ টাকা করে কমেছে। যে পেঁয়াজ আগে প্রতিমণ এক হাজার ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ছিল বর্তমানে তা কমে এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সে জন্য আমদানিকৃত পেঁয়াজেরও দাম কমেছে।
হিলি পানামা পোর্ট এর জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক জানান, ‘ঈদের ছুটি শেষে ১৬ই জুলাই থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি শুরু হয়েছে। ওই দিন বন্দর দিয়ে ২৮টি ট্রাকে ৭৮৩ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। পরদিন রোববার বন্দর দিয়ে ৩২টি ট্রাকে ৮৫৮ টন, সোমবার ১৭টি ট্রাকে ৪৮০ টন,মঙ্গলবার ২৭ ট্রাকে ৭৭৪ টন, বুধবার ২৮টি ট্রাকে ৮১৫ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। বৃহস্পতিবার একদিনে ৪৬ ট্রাকে এক হাজার ৩৭৫ টন আমদানি হয়েছে। পেঁয়াজ কাঁচা পণ্য, তাই কাস্টমসের সব প্রক্রিয়া শেষে আমদানিকারকরা যাতে দ্রুত খালাস নিতে পারেন সে জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে রেখেছে।’
এদিকে, হিলি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমলেও বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। কাঁচা মরিচ কিনতে আসা কয়েক জন বলেন, ‘প্রতিদিন নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। পূর্বে কাঁচা মরিচের কেজি ছিল ৪০ টাকা এখন কিনতে হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি দরে।
হিলি বাজারের কাঁচা মরিচ বিক্রেতা বিপ্লব শেখ জানান, ‘ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি না হওয়ার কারণে মোকামগুলোতে বেশি দামে মরিচ বিক্রি করছেন কৃষকরা। ব্যবসায়ীরা বেশি দামে কিনেবেশি দামে বিক্রি করছে।’