January 12, 2025, 10:07 am

শুকিয়ে রয়েছে ফসলি জমি বিপাকে রাঙ্গাবালীর কৃষক

রফিকুল ইসলাম, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)
আমন চাষের এই ভরা মৌসুমে হাসি নেই কৃষকের মুখে। বৃষ্টির দেখা নেই উপকুলীয় এলাকায়। শুকিয়ে রয়েছে ফসলি জমি। বীজতলা তৈরী করতে পারেনি এখনো। বিপাকে পরেছে কৃষক। কবে হবে বৃষ্টি, আর কবেইবা তৈরী হবে,বীজতলা এ নিয়ে চিন্তিত রাঙ্গাবালীর কৃষক।
কৃষি প্রধান উপজেলা রাঙ্গাবালী। আষাঢ় মাসে শুরু হয় আমন চাষ মৌসুম। বৃষ্টির উপর নির্ভর করে চাষাবাদ। চলতি মৌসুমে চাষ উপযোগী বৃষ্টি না হওয়ায় বীজতলা তৈরী করতে পারেনি অধিকাংশ কৃষক। বিপাকে পরেছেন তারা। শুকিয়ে রয়েছে বীজতলা সহ ফসলী জমি।চাষাবাদ প্রায় বন্ধের উপক্রম। এভাবে আর কদিন চললে হালুটি অনিশ্চিত হয়ে পরবে বলে জানান কৃষকরা। উপকুলীয় এলাকায় বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাত চিরাচরিত নিয়ম। কোন বছরই সেচের প্রয়োজন হয়না এলাকায়। তাই সেচ ব্যবস্থায় অভ্যস্ত নয় এলাকার কৃষক। চলতি মৌসুমে বৃষ্টির দেখা না পেয়ে যে যেভাবে পারছেন,বীজতলা তৈরীতে সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হচ্ছেন তারা। রোদে শুকিয়ে যাচ্ছে বীজক্ষেত।
বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের কৃষক আনিছুর রহমান বলেন, আমাদের এলাকায় পাওয়ার পাম্প না থাকায়, প্লাষ্টিকের মোটা লুছ পাইপ দিয়ে খাল থেকে পানি এনে দুইটা ক্ষেতে বীজ বুনেছি। তাও এখন রোদে শুকিয়ে যাচ্ছে। শুকিয়ে গেলে করার কিছুই থাকবেনা। একই এলাকার কৃষক কামাল মুফতী, দুধা মজুমদার,শাহ আলম গাজীসহ অনেকে জানান, তারা কলস দিয়ে পানি টেনে বীজতলা তৈরী করে অল্প কিছু ধান বুনেছেন, ধান বুনার এখনো অনেক বাকি। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে যদি বৃষ্টি না হয়, হালুটি করতে পারবে কি না সেই শংকায় দিন কাটাচ্ছেন তারা।
উপজেলা কৃষি কর্তা ইকবাল আহমেদ বলেন, আষাঢ় মাসে বীজতলা তৈরী করার ভাল সময়। তবে শ্রাবনের ১৫ তারিখের মধ্যে যদি বীজতলা তৈরী করতে পারে তবে অগ্রিম তরমুজ চাষে ঢুকতে পারবে কৃষক। যে সময় বৃষ্টি হওয়ার কথা, সে সময় বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকরা পিছেয়ে পরেছে। তারা নিজেদের ব্যবস্থাপনায় বীজতলা তৈরী করছে।
রফিকুল ইসলাম

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর