January 11, 2025, 2:54 pm

সংবাদ শিরোনাম

সীতাকুন্ড ট্র্যাজেডি,ফায়ার কর্মী রবিউলকে ফিরে পাওয়ার মায়ের অপেক্ষা

বিকাশ চন্দ্র প্রাং,নওগাঁ প্রতিনিধি:
টেলিভিশনে খবর দেখে ছেলে নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ পায় রবিউলের পরিবার। নিখোঁজ সংবাদ শোনার পার থেকে তার পরিবারে চলছে শোকের মাতম। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে নওগাঁর ছেলে রবিউল ইসলাম রবিন (২৭) নিখোঁজ হয়। তিনি সীতাকুন্ড ফায়ার স্টেশনের ফায়ারফাইটার এ কর্মরত ছিলেন। আগুন নেভারো কাজে তিনিও সেখানে অংশ নিয়েছিলেন। তার বাড়ি নওগাঁ শহরের চকপাথুরিয়া মহল্লার পূর্বপাড়ায়। তিনি সীতাকুন্ড ফায়ার স্টেশনে ফায়ার ফাইটার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আগুন নেভানোর কাজে তিনিও অংশ নিয়েছিলেন।

ছেলের শোকে কাতোর মা ফাইমা খাতুন। ফাইমা খাতুন বলেন:

শনিবার (৪জুন) রাত সাড়ে ৮টার রবিউল আমার ফোনে ফোন দিয়ে বললো মা সীতাকুন্ডে একটা কারখানায় আগুন লাগছে। আমি ডিউটিতে যাচ্ছি। দোয়া কইরো। এইটাই শেষ কথা। শনিবার রাতে শহরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলাম। রাতে ছেলের সাথে কথা হয়নি। ভোর ৫টার দিকে ছেলেকে ফোন দিলে ফায়ার স্টেশন অফিসে যে ডিউটিতে ছিল সে রিসিভ করে। ওই লোক বলেন, রবিউল ডিউটিতে গেছে তার জন্য দোয়া করেন। (৫জুন) সকাল ৯টার দিকে বাসায় এসে টেলিভিশন চালু করে দেখি আগুনের সংবাদ। অনেক লোক মারা গেছে। কথা শেষ করতে পারেন না ফাইমা কাঁদতে থাকেন। রোববার সকালে টেলিভিশনে সীতাকুন্ডে অগ্নিকান্ড ও বিস্ফোরনে হতাহতের খবর দেখে রবিউলের এক বন্ধু মুঠোফোনে রবিউলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। পরে ফোনে তাকে না পেয়ে তার বাবা খাদেমুল ইসলামকে ফোন দেন।

ছেলের বন্ধুর কাছ থেকে অগ্নিকান্ডের ভয়াবহতার খবর শুনে খাদেমুল ইসলাম ছেলের মুঠোফোনে ফোন দিলে সীতাকুন্ড ফায়ার স্টেশনের এক সহকর্মী সেই ফোন রিসিভ করে জানান, রাতে আগুন নেভানোর সময় বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটে। ওই বিস্ফোরনের পর থেকে রবিউলকে আর খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।  

রবিউল ইসলামের চাচা নাজিম উদ্দিন বলেন, ছেলের খোঁজ নিতে রোববার দুপুরে চট্রগ্রামের সীতাকুন্ডের উদ্দেশে ছোট ছেলে রনি ও সাইদুর রহমান নামে এক প্রতিবেশিকে নিয়ে রওনা দেন খাদেমুল। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পুড়ে যাওয়া ৪টি লাশ রয়েছে। কিন্তু লাশগুলো বিভৎসভাবে পুড়ে যাওয়ায় শনাক্ত করা যাচ্ছে না। লাশ শনাক্তের জন্য রবিউলের বাবার শরীর থেকে হাসপাতালের লোকজন নমুনা নিয়েছেন।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর