রাকিব হোসেন,ভোলা জেলা ব্যুরো প্রধানঃ
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার অপহরনের দুইদিন পর মাটি খুঁড়ে সুমন নামের এক কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ সোমবার (২২ জুন) দুপুরে পক্ষিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের একটি এলাকা থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সুমন ওই এলাকার মফিজুল ইসলামের ছেলে ও বোরহানউদ্দিন সরকারি কলেজের ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষ পড়ুয়া ছাত্র। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় পুলিশ মিঠু নামে এক যুবককে আটক করেছে। বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান, গত ২০ জুন সন্ধ্যায় সুমন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এসময় একটি ফোন কল এলে সুমন সেখান থেকে চলে যান। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। সোমবার দুপুরে পুলিশ সুমনের ফোন কল ট্রাকিং করে মিঠু নামে এক যুবককে আটক করে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বোরহানউদ্দিন থানার সেকেন্ড অফিসার মোহাইমুনুলের নেতৃত্বে ফোর্স নিয়ে পক্ষিয়া ৮ নং ওয়ার্ডের মুসলিম পাড়া একটি কলা বাগানের ভিতর মাটি খুঁড়ে সুমনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বোরহানউদ্দিন থানার ওসি আরও জানান, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক মিঠু হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে। তবে কি কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তা এখনো জানা যায়নি। এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুরো এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার মানুষের দাবী দোষীকে আইনের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেওয়া হউক।
বোরহানউদ্দিনে কলেজ ছাত্র হত্যা: খুনি মিঠুর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন
রাকিব হোসেন,ভোলা জেলা ব্যুরো প্রধানঃ
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নে কলেজ ছাত্র সুমন হত্যার প্রধান আসামি মিঠুর সর্বোচ্চ শাস্তি ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী ও ছাত্র সমাজ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে সুমনের জানাজা নামাজের পর বোরহানগঞ্জ বাজারে এই ভিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এলাকাবাসী জানান, অভিলম্বে খুনি মিঠুর সর্বোচ্চ বিচার ফাঁসি চাই। এছাড়া এ খুনের সাথে যারা জড়িত আছে প্রত্যেককে আটক করে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।
পক্ষিয়া ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ও আ. লীগের সভাপতি হোসেন মেম্বার জানান, খুনীর সর্বোচ্চ বিচার চাই। এ ছাড়া এর সাথে জড়িত তার ৩ ভাইয়েরও বিচার চাই। তার বাবা নাজিম উদ্দিন (নাজু) অত্র অঞ্চলে মাদকের সামাজ্য গড়ে তুলেছে, প্রশাসনের কাছে এসবের সর্বোচ্চ বিচার চাই।
উল্লেখ্য, গতকাল সুমন নামে এক কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সুমন ওই এলাকার মফিজুল ইসলামের ছেলে ও ভোলা সরকারি কলেজের অনার্স পড়ুয়া ছাত্র। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় পুলিশ মিঠু নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশ।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান, গত ২০ জুন সন্ধ্যায় সুমন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এসময় একটি ফোন কল এলে সুমন সেখান থেকে চলে যান। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
সোমবার দুপুরে পুলিশ সুমনের ফোন কল ট্রাকিং করে মিঠু নামে এক যুবককে আটক করে। এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুরো এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৪ জুন ২০২০ /ইকবাল