July 5, 2024, 1:01 pm

সংবাদ শিরোনাম
রংপুর মিঠাপুকুরে সেফটিক ট্যাংকে পড়ে তিনজনের মর্মান্তিক মৃত্যু অনুমোদনহীন বৃক্ষ মেলার নামে চলছে বিনোদন ও বানিজ্য মেলা।অবৈধ ভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা কুলাউড়ার রাবেয়া প্রাথমিকের বন্যার্তদের মাঝে বিএনপির ফ্রি ঔষধ বিতরণ মানবিক কাজে জামায়াতে ইসলামী সব সময় জনগণের পাশে আছে –এডঃ এহসানুল মাহবুব জুবায়ের শার্শায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ইউপি সদস্যকে জরিমানা রংপুর বিভাগে ৩য় ও ৪র্থ ধাপের উপজেলা পরিষদে নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণ নবীগঞ্জের এক শিশু লেখা পড়া করে শিক্ষিত হতে চায়- টাকার অভাবে স্কুল ফাঁকি দিয়ে শাক- সবজি বিক্রয় করছে! ফরিদপুরের নগরকান্দা এলাকায় চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি সোহান শেখ’কে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ জয়ন্তী আইডিয়াল ল্যাবঃ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ঐতিহ্য রক্ষায় সংবাদ সম্মেলন পটুয়াখালীতে ধরা পড়ল ৪ ফুট দৈর্ঘ্যের রাসেলস ভাইপার

সতর্ক থাকুন উৎপীড়ক সহকর্মী থেকে

সতর্ক থাকুন উৎপীড়ক সহকর্মী থেকে

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে ভুলে যায়, গুজব ছড়িয়ে বেড়ায় কিংবা সকলের সামনে অপমান করে বসে এমন সহকর্মী বা কর্মকর্তা পুরো কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। কর্মক্ষেত্রে হুমকি, ষড়যন্ত্র ইত্যাদির শিকার হন অনেকেই। এমন অবস্থা পরিত্রাণের জন্য সাবধান থাকতে হয়।

‘ওয়ার্কপ্লেস বুলিইং ইনস্টিটিউট’য়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং ‘দ্য বুলি-ফ্রি ওয়ার্কপ্লেস’ বইয়ের সহকারী লেখক, যুক্তরাষ্ট্রের মনোবিজ্ঞানী গ্যারি নেইমি বলেন, “এটি এক ধরনের কর্মক্ষেত্রে হয়রানি যা ভুক্তভোগীর উপর মারাত্বক কুপ্রভাব ফেলে। সহজ ভাষায় এটি নির্মমতা।”

মানসিকস্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের উপর প্রকাশিত প্রতিবেদনে নেইমি’র বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে আরও জানানো হয়,

আক্রমণাত্মক এই আচরণ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। এই ব্যক্তি একজন নির্দিষ্ট সহকর্মীর উপর লক্ষ্যস্থির করতে পারেন, আবার কয়েকজন দল বেঁধে আরেকজন সহকর্মীকে একঘরে করে দিতে পারেন। আক্রমণাত্মক আচরণগুলো মুখোমুখি বেশি হয়। তবে কর্মক্ষেত্রে প্রযুক্তি নির্ভরতা যেহেতু বাড়ছে, তাই ইন্টারনেটভিত্তিক অসদাচরণও ক্রমেই বাড়ছে।

সহকর্মীর এরকম দুর্ব্যবহারের পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। কেউ হয়ত চক্রান্তের মাধ্যমে সহকর্মীকে দমিয়ে কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি পেতে চাইছে, আবার কেউ হয়ত সহকর্মীকে নিজের বশে রাখতে চাইছে। কারণ যাই হোক, ফলাফল হয় কাজের মান ব্যহত হওয়া, অমনযোগিতা, পদত্যাগ। যার ভুক্তভোগী হয় অসদাচরণের শিকার সহকর্মীসহ পুরো প্রতিষ্ঠান।

নেইমি বলেন, “সহকর্মীর আক্রমণাত্মক আচরণ ভুক্তভোগীর উপর যে মানসিক চাপ ফেলে পরে সেটা রূপ নেয় দুঃশ্চিন্তা, অস্বস্তি এবং আতঙ্কে। গবেষণা বলে, এমন ভুক্তভোগীদের ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। পরিস্থিতি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছালে আত্মহত্যার দিকে পা বাড়াতে পারেন তারা।”

তিনি আরও বলেন, “সমস্যাটা শুধু কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ বিপজ্জনক করে না, পাশাপাশি এটি একটি মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা।”

কী করা উচিত

‘জার্নাল অফ সাইকোলজি রিসার্চ অ্যান্ড বিহেইভিয়ার ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক জার্নালে বলা হয়, কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সঙ্গে আক্রমণাত্মক কিংবা আপত্তিকর আচরণ না করা এবং কেউ করলে তাকে শক্ত হাতে প্রতিহত করার প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত প্রতিটি কর্মীকে।

নেইমির বিশ্বাস, কর্মক্ষেত্রে আক্রমণাত্মক আচরণের শিকারদের কাউন্সিলিং এবং দলবদ্ধ থেরাপির মাধ্যমে আতঙ্ক থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করা সম্ভব। তাদেরকে বোঝাতে হবে, ভুক্তভোগীরা একা নন, এর পেছনে তাদের কোনো দোষ ছিলনা এবং তারা অসহায় নন।

ওয়ার্কপ্লেস বুলিইং ইন্সটিটিউট জরিপ অনুযায়ী-

সহকর্মীদের সঙ্গে আক্রমনাত্মক আচরণকারীদের মধ্যে ৫৬ শতাংশই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। সমমর্যাদার সহকর্মীর মাধ্যমে এমন আচরণের শিকার হন মাত্র ১৮ শতাংশ।

দোষীদের মধ্যে ৬০ শতাংশই পুরুষ আর ভুক্তভোগীর ৬০ শতাংশই নারী।

২০১৪ সালের এক জরিপ অনুযায়ী, দোষীদের ১১ শতাংশ অসদাচরণের শাস্তি পেলেও চাকরিচ্যুত হননি। অপরদিকে ভুক্তভোগীদের ১৫ শতাংশ হয় চাকরিচ্যুত হয়েছেন নয়ত পদত্যাগ করেছেন।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর