সাইকেল চালালে পেশি প্রভাবিত হয়
ডিটেকটিভ লাইফস্টাইল ডেস্ক
একঘেয়ে ব্যায়াম নয় সাইকেল চালিয়ে আনন্দের সঙ্গে গঠন করা যায় পেশি। সুঠাম দেহ গঠনের জন্য ব্যায়ামাগারে গিয়ে ঘাম ঝরানো আর মেপে খাওয়া একসময় বিরক্তিকর হয়ে উঠতে পারে। তবে প্রকৃতির মাঝে সাইকেল নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে শরীর গঠন করার ব্যাপারটা আনন্দের। সাইকেল চালানোর মাধ্যমে শরীরের কোন পেশিগুলো প্রভাবিত হয় সেটা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হল শরীরচর্চা বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে। শরীরের মধ্যভাগ: সাইকেলের সিটে সঠিকভাবে বসে প্যাডেল করলে শরীর ক্লান্ত হবে কম, বাঁচবেন পিঠের ব্যথা থেকেও। সাইকেলের হ্যান্ডেলবার ধরার জন্য শরীর বাঁকা হবে ৪৫ ডিগ্রি কোণে। এর বেশি নুয়ে পড়তে হলে হ্যান্ডেলবার উঁচু করে নিতে হবে। সঠিকভাবে বসে পিঠ সোজা রেখে সাইকেল চালালে শরীরের মধ্যভাগের প্রধান পেশিগুলো শক্তিশালী হবে। সাইকেল চালানোর সময় শরীরকে সোজা ধরে রাখে পেটের পেশি। যদি উপরের দিকে ওঠেন তবে কাজে লাগে হাতের ‘বাইসেপস’ এবং ‘ট্রাইসেপস’। পায়ের পেশি: পায়ের পেশিতে প্রচুর চাপ পড়ে সাইকেল চালালে, যা তাদের আকৃতি সুন্দর করে এবং শক্তিশালী করে। প্যাডেল নিচের দিকে নামানোর সময় পায়ের সামনের দিকে হাঁটুর উপরের পেশি ‘কোয়াড্রিসেপস’ সক্রিয় হয়। পেশির শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখতে, সাইকেল চালানো কর্যকর করতে এবং আঘাতের ঝুঁকি কমাতে ‘হ্যামস্ট্রিংস’ ও ‘কোয়াড্রিসেপস’ দুটোই শক্তিশালী করতে হবে। আর এজন্য প্যাডেল করার সময় ‘কোয়াড্রিসেপস’য়ের উপর অবশ্যই চাপ ফেলতে হবে। নিতম্ব: নিতম্বের দুই পেশি গঠনের জন্য সাইকেল চালানো বেশ উপকারী। প্রতিবার প্যাডেল করার সময় পশ্চাদ্দেশের দুই পেশি শক্তি যোগায়। সাইকেল চালিয়ে ওপরের দিকে উঠলে এই পেশির উপর চাপ বাড়বে যা শরীরের পেছনের অংশ শক্তিশালী করবে। ছবি: রয়টার্স।