ঘুমের অভ্যাস ঠিক করতে করনীয়
ডিটেকটিভ লাইফস্টাইল ডেস্ক
রাতে সময় মতো ঘুম না আসার সমাধান মিলতে পারে অভ্যাসে সামান্য পরিবর্তন আনার মাধ্যমে।
ঘুমের অভ্যাসে টুকিটাকি পরিবর্তন আনা আর সকাল বেলা সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসার মাত্রা বাড়ানোর মাধ্যমে তিন সপ্তাহের মধ্যেই ঘুমের অভ্যাসে পরিবর্তন আনা সম্ভব বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।
যাদের মধ্যরাত পর্যন্ত জেগে থাকা আর দুপুরের কাছাকাছি সময়ে ঘুম থেকে ওঠার বদভ্যাস হয়ে গেছে তারা এই পদ্ধতির মাধ্যমে ঘুমের অভ্যাস দুই ঘণ্টা এগিয়ে আনতে পারেন।
এই পরিবর্তনের মাধ্যমে সকালে কাজে মনোযোগ আসবে বেশি, খাদ্যাভ্যাস হবে আরও স্বাস্থ্যকর এবং কমতে পারে হতাশাগ্রস্থতা, এমনটাই দেখা গেছে তাদের গবেষণায়।
‘স্লিপ মেডিসিন’ নামক জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় দেখানো হয়, যারা রাত জাগেন তাদের ‘সার্কাডিয়ান রিদম’ ওষুধ কিংবা বিশেষ কোনো পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়াও পরিবর্তন করা সম্ভব।
গবেষণায় সহকারী লেখক, যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ বার্মিংহাম’য়ের অ্যান্ড্রু ব্যাগশ বলেন, “রাতে দেরিতে ঘুমানোর অভ্যাস একজন মানুষের দৈনন্দিন সামাজিক কার্যকলাপে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, যার ফলাফল হিসেবে আসতে পারে নানান বিপত্তি। এরমধ্যে আছে সারাদিন ঝিমানো এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকা।”
গবেষকরা দেখতে চেয়েছিলেন সাধারণ কিছু পরিবর্তন আনার মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব কি না। এজন্য একদল মানুষকে নিয়ে তিন সপ্তাহ ধরে গবেষণা চালান গবেষকরা।
এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের বলা হয় তারা সাধারণত যে সময় ঘুম থেকে ওঠেন তার দুই থেকে তিন ঘণ্টা আগে উঠতে এবং সকাল বেলা সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসার পরিমাণ বাড়াতে।
ঘুমাতে যাওয়া সময় দুই থেকে তিন ঘণ্টা এগিয়ে আনতে বলা হয় এবং সন্ধ্যা পর থেকে আলোর সংস্পর্শে আসার মাত্রা কমাতে বলা হয়।
এছাড়াও কাজের দিন এবং ছুটির দিন, সবসময়ই ঘুমের অভ্যাস একইরকম রাখতে বলেন গবেষকরা। সেই সঙ্গে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর যত দ্রুত সম্ভব নাস্তা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
দুপুরের খাবার প্রতিদিন একই সময়ে খাওয়ানো হয় এবং সন্ধ্যা সাতটার পর রাতের খাবার খেতে বারণ করা হয়।
ব্যাগশ বলেন, “আমরা দেখতে চেয়েছিলাম যে ঘরে বসে সাধারণ কিছু অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে ঘুমজনীত এই সমস্যাগুলো সমাধান করা যায় কি না। আমাদের উদ্দেশ্য সফল হয়েছে এবং গড় হিসেবে মানুষের ঘুমের সময় এগিয়ে এসেছে প্রায় দুই ঘণ্টা।”
“আরও খুশির ব্যাপার হল, এমনটা হওয়ার কারণে তাদের মানসিক অবস্থারও উন্নতি হয়েছে, ঝিমুনি কমেছে। পরিশেষে অংশগ্রহণকারীরা ইতিবাচক ফলাফল পেয়েছে।” ছবি: রয়টার্স।