শিক্ষকদের জন্য পৃথক বেতন কাঠামো প্রণয়নে পরিকল্পনায় রয়েছে: নাহিদ
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করতে জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ এর আলোকে শিক্ষকদের জন্য পৃথক বেতন কাঠামো প্রণয়ন সরকারের পরিকল্পনায় আছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যেই আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে বলেও জানান তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী এসব তথ্য জানান। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করতে দেশে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি নামে একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে আইন পাস হয়েছে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বর্তমানে শতকরা ১০০ ভাগ বেতন পাচ্ছেন। বেসরকারি কলেজ ও স্কুলের শিক্ষকদের মতো মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন স্কেল ও মর্যাদায় সমতা আনা হয়েছে। এদিকে স্কুল-কলেজ এমপিভুক্তিকরণ প্রসঙ্গে একাধিক সংসদ সদস্যের প্রশ্নের উত্তরে দিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত ৫ বছরে সারা দেশে নতুনভাবে কোনো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) এমপিওভুক্ত করা হয়নি। বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর পরই শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সারাদেশে ১ হাজার ৬২৪টি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। অবশিষ্ট নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে ইতোমধ্যে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) এর জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ জারি করা হয়েছে। উল্লিখিত নীতিমালার অনুসরণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির বিষয়ে কার্যক্রম চলছে। সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রত্যেক সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে গৃহীত ২০টি করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ১০ হাজার ৬৯৪ কোটি ব্যয়ে প্রকল্পভুক্ত ৩ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে। এ লক্ষ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ হতে প্রশাসনিক অনুমোদন জারি করা হয়েছে। এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানান, শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারের গৃহীত ও বাস্তবায়িত বিভিন্ন কার্যক্রমের ফলে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতি বছর শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্রমবর্ধমান শিক্ষার্থীদের আবাসিক সঙ্কট নিরসনে বর্তমান সরকার বিবিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।