July 27, 2024, 10:28 am

সংবাদ শিরোনাম
বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের অভিযানে ১০ হাজার ইয়াবাসহ যুবক আটক পার্বতীপুরে নব-নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ভাই চেয়ারম্যানদ্বয়ের সংবর্ধনা রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা হতে জাল সার্টিফিকেট ও জাল সার্টিফিকেট তৈরীর সরঞ্জামাদিসহ ০২ জন’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ র‌্যাব-১০ এর অভিযানে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং এলাকা হতে ইয়াবাসহ ০১ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার কক্সবাজারে ভারী বৃষ্টিপাত পাহাড় ধ্বসে নারী-শিশু নিহত পীরগঞ্জে মসজিদের দোহাই সরকারি খাস জমির গাছ কর্তন পার্বতীপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক হোসেন এর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন দারুসসালাম লাফনাউট মাদ্রাসার দস্তারবন্দী নিবন্ধন ফরম বিতরণ শুরু পীরগঞ্জে নিখোঁজের একদিন পর শিশু’র লাশ উদ্ধার মাদক মামলায় ১৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত দীর্ঘদিন পলাতক আসামী আলাউদ্দিন’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০

নিয়মনীতি না মানলেও প্রতিবছর লাইসেন্স নবায়ন হচ্ছে ঝিনাইদহের ক্লিনিকগুলোর

নিয়মনীতি না মানলেও প্রতিবছর লাইসেন্স নবায়ন হচ্ছে ঝিনাইদহের ক্লিনিকগুলোর

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

ঝিনাইদহে বেশির ভাগ ক্লিনিক গুলোয় সর্বক্ষণ ডাক্তার নেই, নার্স নেই। নেই চিকিৎসা দেয়ার মতো উন্নত পরিবেশ। অপারেশন থিয়েটার দেখলে মনে হবে গৃহস্থবাড়ির রান্নাঘর। অনেকটা ঢাল নেই, তলোয়ার নেই নিধিরাম সরদারের মতো। তারপরও প্রতি বছর ক্লিনিক গুলোর লাইসেন্স নবায়ন করা হচ্ছে। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলায় সর্বমোট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে ১৬৪টি। ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় আছে ৬৭টি, হরিণাকুন্ডুতে ১৩টি, শৈলকুপায় ১৯টি, মহেশপুরে ১৮টি, কালীগঞ্জে ৩১টি ও কোটচাঁদপুর উপজেলায় ১৬টি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে নির্দিষ্ট ছকে পাঠানো তালিকায় দেখা গেছে খোদ ঝিনাইদহ জেলা শহরে অবস্থিত অনেক ক্লিনিকে জনবল, যন্ত্রপাতি, সর্বক্ষণ ডাক্তার এবং নার্স নেই। সব ক্ষেত্রে নেই নেই অবস্থার মধ্যেই প্রতি বছর এসব ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন হচ্ছে।জনবল নেই এমন তালিকায় রয়েছে ইসলামি প্রাইভেট হাসপাতাল ডাকবাংলা, সৃজনী হাসপাতাল, হলিধানী বিএম প্রাইভেট হাসপাতাল, শহরের কেয়ার হাসপাতাল, সদর উপজেলার বৈডাঙ্গা প্রাইভেট হাসপাতাল, ঝিনাইদহ শহরের ল্যাব এইড প্রাইভেট হাসপাতাল, বাজার গোপালপুরের নিউ ইসলামি প্রাইভেট হাসপাতাল ও গোয়ালপাড়া হাবিবা প্রাইভেট হাসপাতাল। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই অথচ লাইসেন্স দেয়া হয়েছে এমন তালিকায় রয়েছে মেহেরুন্নেছা ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, অন্তি ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, ল্যাব কেয়ার, মেডিল্যাব, নূরজাহান, আরএমপি, সালেহা, জননী, লাইফ কেয়ার, ডক্টরস ল্যাব, রয়েল, আল মামুন, মুক্তি প্যাথলজি, সুর্যের হাসি, ইসলামিয়া, ইসলামি, কেয়ার, তাসলিমা, জাহান, নবগঙ্গা, ক্রিসেন্ট, সমতা, পপুলার, ফামেতা শুক্তি, আল আমিন, আল মদিনা, শাপলা, যমুনা, আমেনা, ফিরোজ, রাহেলা প্রিন্স, এ্যাপেক্স, ছন্দা হাবিবা, নিউ ইসলামি, জনসেবা, আনোয়ারা, শতাব্দী ও ফিরোজ ডায়াগনোস্টিক সেন্টার।ডাক্তার, নার্স ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই তার পরও লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে হরিণাকুন্ডুর জনসেবা, নিউ রেসিডো, আলহেরা, আনোয়ারা, ভাই ভাই ও শিখা প্রাইভেট হাসপাতালকে। এ ছাড়া ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের মধ্যে রয়েছে নিপুণ, শিখা, আরাফাত, জনসেবা, আনোয়ারা, শতাব্দী ও ফিারেজ ডায়াগনোস্টিক সেন্টার। সর্বক্ষন ডাক্তার থাকেন না শৈলকুপার নিউ মহিলা শিশু ক্লিনিক, পশিক সেবা, তানিশা, আয়েশা, লাঙ্গলবাঁধ প্রাইভেট হাসপাতাল, খোন্দকার, সাইদা, শৈলকুপা ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, রাব্বি ও লালন শাহ ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে।মহেশপুরের সুমি, মুক্তি, মা ও শিশু, সুমন, সীমা, ভৈরব বাজারের মডার্ন, নেপা বাজারের একতা, কুশোডাঙ্গার গ্রামীন, ভৈরব বাজারের সচিব, জলিলপুরের মহিউদ্দীন, পুরোপাড়ার আর এম রণি কোনো ডাক্তার নেই বলে প্রদত্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। মহেশপুরের ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের মধ্যে রয়েছে ল্যাব স্কিন, খালিশপুরের আল রাজি, ম্যাডিল্যাব, সনো, সালেহা ও গ্রীন লাইফ। কোটচাঁদপুরের জনতা ক্লিনিক, নার্সিং হোম, সামস উদ্দীন মেমোরিয়াল, একতা, সিটি, মাহবুবা, আশশেফা, কর্ণফুলি, সামস উদ্দীন,আল্টারভিশন, মেডিল্যাব, অ্যাডভান্স, ইবনে সিনা, মাহবুবা, ইউনিক ও মেসার্স সজিব ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টার।কালীগঞ্জ উপজেলায় ১৬টি ক্লিনিক ও ১৪টি ডায়াগনোস্টিক সেন্টার আছে। তার মধ্যে ৬টি ক্লিনিক ভালো চলে বলে রিপোর্টে উল্লেখ আছে।অভিযোগ উঠেছে, সিভিল সার্জন অফিসের কতিপয় কর্মচারী ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার মালিকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রতি বছর লাইসেন্স নবায়নের জন্য ঢাকায় পাঠায়। বেশির ভাগ ক্লিনিকে ডাক্তার ও নার্স না থাকলেও কীভাবে লাইসেন্স নবায়ন হয় তা নিয়ে সচেতন মহল প্রশ্ন তুলেছে। এই মানহীন ক্লিনিক বাণিজ্যিক বলেও অনেকের অভিমত। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চিকিৎসক জানান, গ্রাম, বাজার ও শহরে ক্লিনিক গুলো আছে বলেই মানুষ কিছুটা সেবা পাচ্ছে। তা না হলে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল রোগীর চাপ সহ্য করতে পারতো না। ওই চিকিৎসকের ভাষ্যমতে, দূরের রোগী ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে আনতে হলে তার অবস্থা আরো শোচনীয় হয়ে পড়তো। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে সর্বক্ষণিক ডাক্তার ও নার্স না থাকলেও প্রাথমিক সেবার জন্য হয়তো প্রতি বছর ক্লিনিক গুলোর লাইসেন্স নবায়ন করা হয়। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. রাশেদা সুলতানা জানান, এ বিষয়ে আমরা খুবই কঠোর। শর্ত পূরণ করা না হলে কারো লাইসেন্স নবায়ন করা হবে না। তিনি বলেন, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে আমরা কারো লাইসেন্স নবায়ন করিনি। তাছাড়া এখন থেকে বিষয়টি মন্ত্রণালয় দেখভাল করছে। তিনি এ-ও বলেন, আমরা অভিযোগ পেলেই ত্রুটিপূর্ণ ক্লিনিক গুলো সিলগালা করে বন্ধ করে দিচ্ছি।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর