March 21, 2023, 5:12 pm

সংবাদ শিরোনাম
দীর্ঘ সেশনজটের কবলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগ কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ পুলিশ সদস্য গ্রেফতার বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের দূর্নীতির তেলেছমাতি ৪৫০ কোটি টাকা টেন্ডার অনিয়ম নোম্যান্সল্যান্ডে আবারো কাটা তারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা বিএসএফের,বিজিবির বাঁধা মোংলা ইপিজেডে অগ্নিকাণ্ড এসকেভেটোর দিয়ে সরানো হচ্ছে পুড়া স্তুপ কুতুবদিয়ায় চট্টগ্রাম র‍্যাব-৭ এর বিশেষ অভিযানে জলদস্য প্রধান মোশারফসহ ২ জন আটক ৮ টি অস্ত্র উদ্ধার বেচেঁ থাকাই যেখানে সংগ্রাম শফিকুল সফুরা দম্পতির উলিপুরে ফ্রান্স প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপহার পেল শীতার্ত মানুষ রাজাপুরে জেলেদের মাঝে ছাগল বিতরণ

কুড়িগ্রামে ভাঙা সেতুতে বাঁশের সাঁকো জোড়া দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ 
কুড়িগ্রামের চিলমারীর পাত্রখাতা ব্যাপারীপাড়া এলাকায় নির্মিত সেতুটি নির্মাণের ২ মাসের মধ্যেই বন্যায় ভেঙে যায়। এরপর দীঘ ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি কৃতর্পক্ষ। ভেঙে পড়া সেতুতেই একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করে চলাচল করছে এলাকাবাসী। তবে এই ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন তারা।
ভাঙা সেতুটি দিয়ে পাত্রখাতা, ব্যাপারীপাড়া, মাদারীপাড়া, ডাংগারচরসহ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অতি দ্রুত সেতুটি সংস্কার করে পথচলা সুগম করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এই সড়কে চলাচলকারী ও স্থানীয়রা।
পথচারীরা জানান, এই সড়কে চলাচলকারী অনেকেই আজ পঙ্গু। সেতু পেরিয়ে যাওয়ার আগেই প্রতিনিয়ত ধ্বসে নিচে পড়ছে সাধারণ মানুষ।
জানাগেছে, উপজেলার রমনা ইউনিয়নের পাত্রখাতা শিমুলতলী এলাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ৩০ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। নিমার্ণের ২ মাস না পেরুতেই বন্যায় সেতুটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
পাত্রখাতা শিমুলতলী এলাকার শাহজামাল মিয়া (৭০),  নাজমুল হোসেন (৩৫) বলেন, শুকনো মৌসুমে ভাঙা সেতুতে বাঁশের সাঁকো জোড়া দিয়ে চলাচল করা গেলেও চলতি বন্যায় এ পথের চলাচলকারী ও স্থানীয়রা চরম দূভোর্গে পড়েছেন।
একই এলাকার মোছাঃ সাইদা বেগম বলেন, এখানে সেতু নিমার্ণের কোনো প্রয়োজনই ছিলনা। এই সেতু এখন আমাদের গলার কাঁটা হয়ে দাড়িয়েছে।
চিলমারী প্রেসক্লাবের সাবেক সহ সভাপতি মমিনুল ইসলাম বলেন, সে সময় স্থানীয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস কতর্ৃক নিমার্ণাধীন সেতুগুলো দায়সারা ভাবে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি সঠিক পরিকল্পনাও ছিলনা সেতু নিমার্ণে। এর ফলে নিমার্ণের পর অনেক সেতুই কোনো কাজে আসছে না।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অতি:দা:) মো. সিরাজুদৌলা বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ সেতু এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Facebook Comments Box
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর